কুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৫৫ শিক্ষার্থী
Published: 2nd, September 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬৫ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা পেয়েছেন বেরোবিসাসের ৫ সদস্য
এবার স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ১৯টি বিভাগের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। অ্যাওয়ার্ড হিসেবে শিক্ষার্থীদের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ সনদ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মান।
অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সঙ্গে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো, তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনীগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। কোরআনের দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলবে।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, “তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এখনো অনেক পথ বাকি, যেতে হবে বহুদূর।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শাকসু নির্বাচন : দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষকদের নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবি শিক্ষার্থীদের
দীর্ঘ ২৮ বছর পর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (শাকসু) আমেজ ফিরে এসেছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে।
গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শাকসু নির্বাচনের কথা ভাবছেন। আগামী দুই-তিনদের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বা আগামীকাল যেকোনো সময় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা আসতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে হচ্ছেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অনেকের নামই প্রস্তাব করা হচ্ছে। উপাচার্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা মত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, দলান্ধ কাউকে কিংবা এক আদর্শ চর্চাকারী কট্টরপন্থী কেউ যাতে দায়িত্ব না পান। নির্বাচন কমিশন হতে হবে নিরপেক্ষ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, এমন কাউকেই বেছে নিতে হবে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আদিল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনটা হতে হবে নিরপেক্ষ। কমিশনাররা যেন রাজনৈতিক প্রভাব বা ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করেন। যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী মুক্তভাবে তাঁদের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারেন। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মহসিনা আক্তার বলেন, এমন নির্বাচন কমিশন দরকার, যা ডাকসু, জাকসুর নির্বাচনের অসংগতিগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি নির্বাচনী মডেল দাঁড় করাবে।
সাবেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন (শিশির) বলেন, ‘আমরা এমন একজন নির্বাচন কমিশনার চাই, যিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবেন, শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে পারবেন এবং প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবেন। তিনি যেন সাহসের সঙ্গে যেকোনো দুর্নীতি, প্রভাব বা অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন।’
আরও পড়ুনশাহজালালে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে: উপাচার্য১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫জানতে চাইলে শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান বলেন, নির্বাচন কমিশনারের যাতে রাজনৈতিক পরিচয় না থাকে, শুধু নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, সে জন্য কমিশন কাজ করবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. এছাক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে যে অসংগতিগুলো তৈরি হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য কর্মঠ ও যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজছে প্রশাসন। পাশাপাশি ছাত্রসংগঠনগুলোরও যাতে আস্থা থাকে, এমন কাউকেই বেছে নিতে হবে। শিগগিরই নির্বাচন কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন উপাচার্য।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এর আগে ১৯৯৩ সাল থেকে তিনবার শাকসু নির্বাচন হয়েছে। ২৮ বছর ধরে শাকসু অচল রয়েছে।