চলন্ত ট্রেনের ছাদে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি, পড়ে গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু
Published: 5th, September 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর স্টেশন এলাকায় রেজাউল করিম নামে এক পল্লী বিদ্যুৎকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রেললাইনের পাশে অচেতন অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ, খালে মিলল যুবকের মরদেহ
জমিয়ত নেতার লাশ মিলল নদীতে
রেজাউল করিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের জুরু মিয়ার ছেলে ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজার পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার উদ্দেশে কুমিল্লা থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেন রেজাউল, তার সহকর্মী রিফাত মিয়াসহ ৩ জন। তবে, ট্রেনের ভেতরে টিকেট না পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ছাদে যাত্রা করেন তারা। ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন অতিক্রম করার পর সংঘবদ্ধ ১০ থেকে ১২ জনের একটি ছিনতাইকারী দল তাদের ওপর হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেজাউল ট্রেন থেকে নিচে পড়ে মারা যান।
রেজাউলের সহকর্মী রিফাত মিয়া জানান, আখাউড়া স্টেশন অতিক্রম করার আগে লোকগুলো (ছিনতাইকারীরা) ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। আখাউড়া স্টেশন ছাড়ার পর সবাই একসঙ্গে হয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। আমাদের একেক জনকে ওরা ৩-৪ জন জাপটে ধরে, ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে রেজাউল ভাই ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। পরে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনটি থামালে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। ধ্বস্তাধস্তিতে আমরাও আহত হই। পরের স্টেশন শ্রীমঙ্গলে নেমে রেলওয়ে পুলিশের সহায়তা চাই। রেজাউল ভাইর নম্বরে যোগাযোগ করলে একজন রিসিভ করে জানায়, সে মারা গেছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/পলাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ত ধস ত র জ উল
এছাড়াও পড়ুন:
তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।
এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।
মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’
মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে