সীমান্তে মানবতা: ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ দেখলেন বাংলাদেশি স্বজনেরা
Published: 6th, September 2025 GMT
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পচি খাতুনের (৬৫) শেষ ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পর যেন বাংলাদেশে থাকা নানাবাড়ির স্বজনেরা অন্তত এক নজর তার মরদেহ দেখতে পারেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের কৃষ্ণনগর থেকে বিএসএফ সদস্যদের সহযোগিতায় পচি খাতুনের লাশ সীমান্তের ১২৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে আনা হয়। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় ৫ কোটি টাকার মোবাইল ডিসপ্লেসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ
আটক ২ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত দিল বিএসএফ
বৈঠকের পর বৃদ্ধার মরদেহ মুজিবনগরে থাকা তার নিকট আত্মীয়দের দেখার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ২০ মিনিট মরদেহটি সীমান্তে রাখা হয়। এ সময় নিকট আত্মীয়স্বজনসহ আশপাশের বিপুল সংখ্যক মানুষ পচি খাতুনকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন। চোখের জলে তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। পরে মরদেহটি আবার ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার এবং ভারতের পক্ষ থেকে ছিলেন বিএসএফের চাপড়া কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার।
মুজিবনগর বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার বলেন, ‘‘বিএসএফের পক্ষ থেকে মৃতের মরদেহ দেখানোর বিষয়টি অবগত করা হলে বিজিবি তাতে সাড়া দেয়। পরবর্তীতে মৃতের স্বজনেরা সীমান্তের কাছে এসে তাদের আত্মীয়ের মরদেহ দেখতে পান।’’
ঢাকা/ফারুক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র মরদ হ দ খ কম ন ড র ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ