অভিনেতা আফরান নিশো বর্তমানে অবস্থান করছেন কাজাখস্তানে। তার সঙ্গে রয়েছেন নির্মাতা রেদওয়ান রনি, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল এবং আর্ট ডিরেক্টর শহীদুল ইসলাম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সেখানে নতুন চলচ্চিত্র ‘দম’-এর লোকেশন রেকি করতে গেছেন।
আরো পড়ুন:
আশির দশকের বাংলা সিনেমা ও সিনেমাকেন্দ্রিক সমাজ
সন্তানের মৃত্যু ইরফান সাজ্জাদকে যা শিখিয়ে গেছে
রেদওয়ান রনি তার ইন্সটাগ্রাম ও ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘দম-এর দম পরীক্ষা’। পোস্টে হ্যাশট্যাগে তিনি লিখেছেন, ‘দমরেকি’ ও ‘কাজাখস্তান’। এতে স্পষ্ট হয়েছে, সিনেমাটির লোকেশন নির্বাচনের কাজ চলছে কাজাখস্তানে।
এর আগে শুটিং লোকেশন হিসেবে সৌদি আরব ও জর্ডানের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাজাখস্তানকে বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রযোজনা সংস্থা শোনা যাচ্ছে। নিশোর পোস্ট করা ছবিগুলো দেখে অনুমান করা যায়, সিনেমার শুটিং হবে বেশ চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে।
‘দম’-এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র নির্মাণে ফিরছেন রেদওয়ান রনি। তার ভাষায়, “দম নিয়ে ‘দম’ বানাতে আসছি।”
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত হচ্ছে সার্ভাইভালধর্মী কাহিনির ‘দম’।
সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন আফরান নিশো ও চঞ্চল চৌধুরী। যুক্ত হওয়ার সময় নিশো বলেন, “সিনেমায় পারফরমেন্সে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। দেশে এ ধরনের সিনেমা আমি আগে দেখিনি।”
অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরী বলছেন, “‘দম’-এর গল্প অসাধারণ। এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। দর্শক চমকে যাবেন বলে বিশ্বাস করি।”
অবশ্য সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে কাকে দেখা যাবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
এসভিএফ, আলফা–আই এন্টারটেইনমেন্ট ও চরকির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘দম’ মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের রোজার ঈদে।
ঢাকা/রাহাত/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন ম হল চলচ চ ত র আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’