লন্ডনের মধ্যভাগে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ করে এক লাখেরও বেশি মানুষ। শনিবার অভিবাসনবিরোধী কর্মী ডানপন্থী টমি রবিনসন এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, রবিনসনের ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ মিছিলে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল। একইসময় ওই এলাকার কাছাকাছি ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ নামে পাল্টা বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।

লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বেষ্টনি ভেঙে ফেলার বা ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ এ  অংশগ্রহণকারীদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশ একাধিকবার তাদের বাধা দিয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের জন্য অতিরিক্ত সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছিল।

বিক্ষোভকারীরা ব্রিটেনের ইউনিয়ন পতাকা এবং ইংল্যান্ডের লাল ও সাদা সেন্ট জর্জ ক্রস বহন করেছিল। অন্যরা আমেরিকান ও ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে এসেছিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন টুপি পরেছিল। তারা প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করে স্লোগান দিচ্ছিল এবং ‘ওদের বাড়িতে পাঠাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিল। 

রবিনসন ইউনাইট দ্য কিংডম মার্চকে বাকস্বাধীনতার উদযাপন হিসেবে অভিহিত করেছেন। বুধবার গুলিবিদ্ধ আমেরিকান রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের প্রতিও কর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।

রবিনসনের প্রকৃত নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন। তিনি নিজেকে রাষ্ট্রীয় অন্যায় ফাঁসকারী সাংবাদিক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে তার সমর্থকদের মধ্যে গণ্য করেন। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ