লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে ১ লাখেরও বেশি মানুষ
Published: 13th, September 2025 GMT
লন্ডনের মধ্যভাগে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ করে এক লাখেরও বেশি মানুষ। শনিবার অভিবাসনবিরোধী কর্মী ডানপন্থী টমি রবিনসন এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিনসনের ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ মিছিলে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিল। একইসময় ওই এলাকার কাছাকাছি ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ নামে পাল্টা বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ বিক্ষোভকারীরা পুলিশের বেষ্টনি ভেঙে ফেলার বা ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ এ অংশগ্রহণকারীদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশ একাধিকবার তাদের বাধা দিয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের জন্য অতিরিক্ত সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা ব্রিটেনের ইউনিয়ন পতাকা এবং ইংল্যান্ডের লাল ও সাদা সেন্ট জর্জ ক্রস বহন করেছিল। অন্যরা আমেরিকান ও ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে এসেছিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন টুপি পরেছিল। তারা প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করে স্লোগান দিচ্ছিল এবং ‘ওদের বাড়িতে পাঠাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিল।
রবিনসন ইউনাইট দ্য কিংডম মার্চকে বাকস্বাধীনতার উদযাপন হিসেবে অভিহিত করেছেন। বুধবার গুলিবিদ্ধ আমেরিকান রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের প্রতিও কর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন।
রবিনসনের প্রকৃত নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন। তিনি নিজেকে রাষ্ট্রীয় অন্যায় ফাঁসকারী সাংবাদিক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে তার সমর্থকদের মধ্যে গণ্য করেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি