এইচবিওর জনপ্রিয় সিরিজ ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এ ‘অ্যালিসেন্ট হাইটাওয়া’র চরিত্রে অভিনয় করা ব্রিটিশ অভিনেত্রী অলিভিয়া কুক পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, নারীরা যখন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সময় নিজের সীমারেখা নির্ধারণ করেন, তখনো তাঁদের ‘ঝামেলাবাজ’ আখ্যা দেওয়া হয়। সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে অলিভিয়া কুক অভিনীত সিরিজ ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’। সিরিজটির প্রচার উপলক্ষে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য আই পেপারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
এই সাক্ষাৎকারে কুক বলেন, ‘অনেক অভিনেত্রী কেবল অস্বস্তির কথা বললেই তাঁদের ‘বদমেজাজি’ ট্যাগ দেওয়া হয়। তবে তিনি স্বীকার করেন যে ইন্ডাস্ট্রি এখন অনেকটাই বদলেছে। কারণ, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ে এখন সাধারণত ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর থাকেন।

কুকের ভাষায়, এটা অবিশ্বাস্য যে আগে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কোনো সমন্বয়ক ছাড়াই এমন দৃশ্য সামলাতে হতো। এখন ভালো কো-অর্ডিনেটররা নারীদের হয়ে কথা বলেন, বিশেষ করে নতুনরা যখন নিজেদের অস্বস্তি বোঝানোর ভাষাই খুঁজে পান না।
একই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আরও বলেন, মানুষের আবেগ-অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে অন্তরঙ্গতা বা ভালোবাসার প্রকাশ জরুরি। কিন্তু সেটা এমনভাবে করা সম্ভব, যাতে অভিনয় শেষে মনে না হয় যে নিজের ভেতরের একটুকরো অংশ কেটে নিয়ে গেল।

অলিভিয়া কুক। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী

বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।

কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।

মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।

‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ