কার্ক হত্যার মূল সন্দেহভাজন রবিনসনের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন কৌঁসুলিরা
Published: 17th, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের হত্যা মামলার মূল সন্দেহভাজন টাইলার রবিনসন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। এটাই তাঁর প্রথম শুনানি। এতে কৌঁসুলিরা তাঁর মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং রক্ষণশীল যুব রাজনৈতিক গ্রুপ টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা কার্ককে ১০ সেপ্টেম্বর গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তিনি ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এক বিতর্ক অনুষ্ঠান বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
৩১ বছর বয়সী কার্কের হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। এই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশটির জনমত ব্যাপকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিশোধের স্পৃহা তৈরি করেছে।
ভিডিওতে রবিনসনকে আত্মহত্যা প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে দেখা গেছে। সাধারণত আলোচিত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের এভাবে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানিতে ডিস্ট্রিক্ট বিচারক টনি গ্রাফ রবিনসনের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ পড়ে শোনান। রবিনসনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজের নাম বলে পুরোটা সময় চুপ ছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর রবিনসনের পরবর্তী মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রবিনসনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে গুরুতর হত্যাকাণ্ডের (অ্যাগ্রাভেটেড মার্ডার) অভিযোগ সবচেয়ে শক্তিশালী। অন্য অভিযোগগুলোর মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি এবং সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা অন্যতম।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউটা কাউন্টির অ্যাটর্নি জেফ গ্রে বলেন, ‘আমি (রবিনসনের) মৃত্যুদণ্ডের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি খেয়ালি মনে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। কাউন্টি অ্যাটর্নি হিসেবে এটি আমার স্বাধীন সিদ্ধান্ত, যা বিদ্যমান প্রমাণ, পরিস্থিতি এবং অপরাধের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।’
রুমমেটের খুদেবার্তাঅ্যাটর্নি জেফ গ্রের সংবাদ সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এতে প্রথমবারের মতো কার্ককে হত্যার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু আভাস পাওয়া গেছে।
গ্রে জানান, রবিনসন ও তাঁর রুমমেটের মধ্যে দীর্ঘ খুদেবার্তা বিনিময় হয়েছিল। তিনি রবিনসনের রুমমেটকে ‘একজন জৈবিক পুরুষ, যিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় ছিলেন’ বলে উল্লেখ করেছেন। গ্রে আরও বলেন, রবিনসন ও ওই রুমমেটের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
গ্রে বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন রবিনসন তাঁর রুমমেটকে খুদেবার্তায় লিখেছিলেন, তাঁর কিবোর্ডের নিচে একটি নোট রাখা আছে। সেই নোটে লেখা ছিল, ‘আমার কাছে চার্লি কার্ককে শেষ করে দেওয়ার সুযোগ এসেছে আর আমি সেটা করতে যাচ্ছি।’
এদিকে বার্তালাপের একপর্যায়ে নাম প্রকাশ না করা ওই রুমমেট রবিনসনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি কার্ককে হত্যা করেছেন?
তখন জবাবে রবিনসন লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর ঘৃণা আর সহ্য করতে পারিনি। কিছু ঘৃণা কখনো আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা যায় না।’
এরপর রবিনসন রুমমেটকে ওই বার্তালাপ মুছে ফেলাতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুনচার্লি কার্কের মৃত্যু উদ্যাপনকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত: জেডি ভ্যান্স১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হত য ক ণ ড র জন ত ক র মম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি