দিনমজুর আবুল কালাম অপেক্ষা করছিলেন মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে, তখন অন্তত একটি ইলিশ কিনবেন। বড় আকারের না হলেও ছোট-মাঝারি সাইজের দু–একটি ইলিশ কিনে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে তুলে দেবেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি তাঁর, হবে বলেও আর মনে করেন না।

গত রোববার রাতে বরিশাল নগরের চৌমাথা বাজারে বারবার ইলিশের ডালার দিকে তাকাচ্ছিলেন কালাম। কখনো ক্রেতার দিকে, কখনো বিক্রেতার দিকে তাকান। আবার হাঁটতে হাঁটতে ইলিশের দিকে অসহায় চোখে চেয়ে থাকেন। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, ‘ক্যামনে কিনমু, জাটকার দামই তো ১ হাজার ২০০ আর বড়গুলার গায় তো হাতই ছোয়ান যায় না। কেনতো পারমু না, হেইতে ইলশার সুরতটা দেইখ্যা যাই।’

শুধু নিম্নবিত্ত নয়, নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালেও নেই ইলিশ। চৌমাথা বাজারে কালামের আক্ষেপের কথা শোনার সময় পাশে ৩ হাজার ২০০ টাকায় ৮০০ গ্রামের দুটি ইলিশ কিনলেন এক বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বললেন, ‘দুই মাসের অপেক্ষার পর এই প্রথম দুইটা ইলিশ কিনলাম। সিজন যায় যায় তবু স্ত্রী, বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে পারিনি। মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই কষ্ট হলেও কিনলাম আর কি!’

ইলিশের মৌসুম এখন শেষের পথে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঋতুচক্রেও এসেছে অস্থিরতা। আষাঢ়-শ্রাবণের বদলে বৃষ্টি নেমেছে শরতে, ইলিশের মৌসুমও সরে এসেছে শরতের দিকে। কদিন আগেই উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া আর প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল। সঙ্গে ছিল মধু পূর্ণিমার জোছনা। স্থানীয় জেলেদের বিশ্বাস, এই আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ বেরিয়ে আসে। সেই সুযোগে ভরে ওঠে জেলেদের জাল। ভাদ্রের মধুপূর্ণিমা তাই প্রতিবছরই জেলেদের জন্য বিশেষ সময়। তবে কয়েক বছর ধরে আর আগের মতো সেই ‘ইলিশের মচ্ছব’ দেখা যায় না।

মৌসুমে ইলিশ বাজারে এলেও দাম থাকে আকাশছোঁয়া। মূল্যস্ফীতির চাপে যখন সাধারণ মানুষের ডালভাতেই টানাপোড়েন, তখন ইলিশ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফলে ক্রেতাদের প্রশ্ন, মৌসুমেও কেন ইলিশের দাম এত বেশি?

বরিশালের খুচরা বাজারে জুন থেকেই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিল। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে (শ্রাবণ-ভাদ্র) সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু দাম কমেনি। জুনেও ১ কেজির ওপরে ইলিশ ছিল ৩ হাজার টাকা, ১ কেজির ইলিশ ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এখন সরবরাহ বাড়ার পরও দাম একই।

কেন বাড়তি দাম

ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, মূলত পাইকারি বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে। জেলে থেকে পাইকার, আড়তদার হয়ে মোকাম, এরপর খুচরা বিক্রেতা—প্রতিটি ধাপে কমিশন ও লাভ যোগ হয়। এতে শেষ পর্যন্ত ক্রেতার ওপর পড়ে বাড়তি বোঝা। তবে পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, আগের মতো এখন আর ইলিশের সরবরাহ নেই। সেই সঙ্গে আহরণের ব্যয়ও দ্বিগুণ হয়েছে। এতে দাম কমার সুযোগ নেই।

বরিশালের পোর্ট রোডের পাইকারি ব্যবসায়ী জহির সিকদার বলেন, সিন্ডিকেট বলে কিছু নেই। আসলে মাছই কম ধরা পড়ে। বড় ইলিশ তো একেবারেই কম। আর ব্যয়ও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

পোর্ট রোডের বাজারে আজ পাইকারি পর্যায়ে ১ কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে মণপ্রতি ৮৬ হাজার টাকায়, ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৭৬ হাজার টাকায়, ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০ হাজার টাকায় এবং ১ কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার টাকায়।

আহরণের ব্যয় দ্বিগুণ

মৎস্য খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সমুদ্রগামী মৎস্য খাত সংকটে পড়েছে। ট্রলার পরিচালনা, জেলেদের খোরাকি, বরফ, মজুরি—সব মিলিয়ে ব্যয় বেড়েছে ৭০ শতাংশ। ফলে আহরিত মাছ বিক্রি করে ব্যয় তোলা দুরূহ হয়ে পড়েছে।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১১৪ টাকা। বর্তমানে সরকারি দর ১০২ টাকা হলেও স্থানীয় বাজারে লিটারপ্রতি ১০৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগে ছিল ৬৫ টাকা। ফলে খরচ প্রায় দ্বিগুণ।

পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামের এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক জাহাঙ্গীর খান জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে তাঁর ট্রলারে ১৯ জন মাঝি-জেলে থাকেন। ট্রলারটিতে জ্বালানি তেল লাগে ১২ ব্যারেল। শুধু জ্বালানি তেলের খরচ হয় ২ লাখের বেশি। ইঞ্জিন অয়েল ১২ হাজার ৫০০ টাকা, বরফ ৬৫ হাজার টাকা, জেলেদের ১০ দিনের বাজারসদাই ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যন্ত্রাংশ ২০ হাজার, ওষুধ ৫ হাজার, খাবার পানি ২ হাজার, অন্যান্য খাতে ৭ হাজার ৫০০ টাকা। সব মিলিয়ে একটি ট্রলার পাঠাতে খরচ হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা।

জাহাঙ্গীর খান বলেন, এই খরচ তোলার জন্য অন্তত ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতে হয়। কিন্তু এখন কখনো ২ লাখ, কখনো ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি মাছ বিক্রি করা যায় না। অগভীর সাগরে যাওয়া ট্রলারগুলোর ব্যয়ও বেড়েছে। পাথরঘাটার আরেক মালিক মোহাম্মদ সেলিম জানান, বর্তমানে একটি ট্রলারে জ্বালানি তেল লাগে ২ ব্যারেল মানে প্রায় ৪০ হাজার টাকা, ইঞ্জিন অয়েল ৫ হাজার টাকা, বরফ ১৫ হাজার টাকা, বাজার সদাই ৭০ হাজার টাকা, যন্ত্রাংশ ৫ হাজার টাকা, ওষুধ-পানি ২ হাজার এবং অন্যান্য খরচ ৫ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আগে ব্যয় হতো ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। এই ব্যয় তুলে লাভ করা এখন খুব কষ্টকর। এ জন্য বাজারে ইলিশের দাম চড়া।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত জুলাই মাসে ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকারভোগীদের জন্য ৭৭ দশমিক ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রক্রিয়া অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) একজন ডিলার (পরিবেশক) তুলেও নেন। তবে ওই মাসে টিসিবির অন্য পণ্য পেলেও চাল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহম্মদপুরের ৮ ইউনিয়নে টিসিবির উপকারভোগী কার্ডধারী আছেন ১৫ হাজার ৫৬৭ জন। এসব উপকারভোগী নিজেদের কার্ড দেখিয়ে প্রতি মাসে একবার ইউনিয়নের টিসিবির নিয়োগ করা ডিলারের কাছ থেকে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে তেল, চিনি, ডাল ও চাল কিনতে পারেন। গত জুলাইয়ে ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি ও ডালের একটি প্যাকেজ কিনতে পেরেছেন তাঁরা। ওই মাসে চালের বরাদ্দ আসেনি বলে জানানো হয় কার্ডধারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, গত ৩০ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুইটি বিলি আদেশে (ডিও) উপজেলার হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে একজন ওএমএস ডিলারের অনুকূলে ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই দিনই মহম্মদপুর ও বিনোদপুর খাদ্যগুদাম থেকে এ চাল তুলেও নেওয়া হয়।

সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।শরিফা, টিসিবির কার্ডধারী, রাজাপুর ইউনিয়ন

টিসিবি ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন টিসিবি উপকারভোগীদের চাল ছাড়া অন্য পণ্য সরাসরি তাঁদের নিয়োগ করা ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে। চালের বরাদ্দ দেওয়া হয় খাদ্য বিভাগ থেকে। এ অনুযায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রথমে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা ওএমএস বা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের অনুকূলে ২৬ টাকা কেজি দরে চাল বরাদ্দ দেয়। সেই চাল ওই ডিলারদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে নেন টিসিবির ডিলাররা। এরপর তাঁরা ৩০ টাকা কেজি দরে ওই চাল উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করেন।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামে টিসিবির এক উপকারভোগী ১ সেপ্টেম্বর জানান, আগস্ট মাসে চাল, ডাল, তেল ও চিনির প্যাকেজ পেলেও জুলাই মাসে তাঁদের চাল ছাড়া অন্য তিন ধরনের পণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে তাঁদের জানানো হয় চাল বরাদ্দ হয়নি।

বিষয়টি জানতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে টিসিবির নিয়োগ করা ৮ জন ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে মহম্মদপুর সদর, নহাটা, পলাশবাড়ীয়া, বালিদিয়া, রাজাপুর ও বাবুখালী ইউনিয়নের ডিলার জানিয়েছেন, জুলাই মাসে তাঁদেরকে চাল দেওয়া হয়নি। নহাটা ও রাজাপুর ইউনিয়নের ডিলার মিলন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন ঘোষ ৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘জুলাই মাসে আমাদের বলা হইছিল চাল বরাদ্দ নেই। এ কারণে চাল ছাড়া অন্য পণ্যগুলো বিক্রি করেছি। তবে অ্যাপে দেখাইছিল চাল। কিন্তু আমরা পাইনি।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান

অবশ্য বিনোদপুর ও দীঘা ইউনিয়নের দুই ডিলার দাবি করেছেন তাঁরা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে চালও কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ জন উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাঁরা কেউই চাল পাননি। এর মধ্যে বিনোদপুর বাজারের একজন ফল ব্যাবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জুলাই মাসে ডিলার জানাইছিল চাল ফুরায় গেছে।’

হোসনিয়া কান্তা উপজেলার বিনোদপুর এলাকার ওএমএস ডিলার। গত ২৫ জুলাই লটারির মাধ্যমে তিনিসহ তিনজন উপজেলায় ওএমএস ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান বলে খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হোসেনিয়া কান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তাঁর মুঠোফোনে সোমবার যোগাযোগ করা হলে একজন ধরে জানান, ওই নম্বর হোসেনিয়া কান্তা ঋতু নামে কেউ ব্যবহার করেন না।

জানতে চাইলে টিসিবির ঝিনাইদহ ক্যাম্প অফিসের উপপরিচালক আকরাম হোসেন সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিসিবির চাল খাদ্য বিভাগ থেকে সরবরাহ করা হয়। আর বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে। যেখানে প্রতি ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার আছেন, যিনি এগুলো তদারকি করেন।’

জেলার কয়েকজন চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২৬ টাকা কেজি দরে কেনা এসব চাল বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। উপকারভোগীদের কাছে তা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার কথা। এ হিসাবে উপকারভোগীদের ফাঁকি দিয়ে এ চাল বাজারে বিক্রি করতে পারলে কেজিতে ২২ থেকে ২৪ টাকা লাভ হয়।

চাল না পাওয়ার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন মহম্মদপুরের ইউএনও শাহীনুর আক্তার। সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাল দেওয়া হয়নি এখন পর্যন্ত এমন অভিযোগ কেউ দেয়নি। খাদ্য অফিস থেকে আমি যত দূর জানতে পেরেছি তাতে সবকিছু দেওয়া হয়ে গেছে। বরাদ্দ থাকলে তা আটকে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও কোনো অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব।’  

হঠাৎ এক মাসে চাল না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন উপকারভোগীরা। রাজাপুর ইউনিয়নের শরিফা নামের টিসিবি কার্ডধারী এক নারী বলেন, ‘সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া যায়। বাজার থেকে ওই চাল কিনতে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা লাগে। জুলাই মাসে চাল না পাওয়ায় কিছুটা কষ্টই হইছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম চালানে ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ গেল ভারতে
  • তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনা: সাইপ্রাসকে ‘এস–৩০০’–এর চেয়েও ভয়ংকর ‘বারাক এমএক্স’ দিল ইসরায়েল
  • গুদামে খাওয়ার অনুপযোগী চাল নিয়ে রাজশাহী খাদ্য বিভাগে তোলপাড়, ৮ তদন্ত কমিটি
  • ৭৭ মেট্রিক টন চাল তুলে নিয়েছেন ডিলার, উপকারভোগীরা জানেন ‘বরাদ্দ হয়নি’
  • বাংলাদেশ ব্যাংক এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল কেন
  • নিলামে ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যুক্তরাজ্য থেকে আসছে মাদক এমডিএমএ, গ্রেপ্তার ৫
  • চাপে পড়ে নয়, অনুরোধে ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন: ফরিদা আখতার
  • ভোটের সরঞ্জাম আসছে ইসিতে