নেত্রকোনার মদনে মাদক ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মদন পৌরসভার চৌরাস্তা মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরিফুল ইসলাম মদন সদর ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মদন অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নিজ এলাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া ডাকাতি মামলায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল সন্ধ্যায় আরিফুল ইসলাম তাঁর পরিবহন প্রতিষ্ঠান মাইজভান্ডারি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় গতকাল রাতে মদন ইউনিয়ন বিএনপির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আরিফুল ইসলামকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান আকন্দ ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় ডাকাতি মামলা, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় মাদক মামলা, মাদারীপুর সদর থানায় মারামারি মামলা, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানায় সড়ক পরিবহনের মামলা, নেত্রকোনা মডেল থানায় চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে। এসব মামলার কয়েকটিতে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

ওসি আরও বলেন, নেত্রকোনা মডেল থানার একটি মাদক মামলায় ২০২৩ সালে আদালত তাঁকে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। গতকাল তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ল ইসল ম গ র প ত র কর ন ত রক ন গতক ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ