দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা, পেট্রলপাম্পে কফি বিক্রেতা থেকে আজকের শাবানা
Published: 18th, September 2025 GMT
ভারতীয় সিনেমার আধুনিক ইতিহাস লিখতে বসলে কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম সবার আগে আসবে। তাঁদের মধ্যে অতি অবশ্যই থাকবেন শাবানা আজমি। তিনি শুধু পর্দার চরিত্রে অভিনয় করেননি, বিভিন্ন সময়ে যেন হয়ে উঠেছেন পুরো সমাজের কণ্ঠস্বর। ভারতের সিনেমার অন্যতম সেরা নির্মাতা শেখর কাপুর একবার বলেছিলেন, ‘৫০ বছর পর যখন ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস লেখা হবে, তখন দেখা যাবে, প্রতিটি মোড়ে শাবানা আজমি উপস্থিত ছিলেন।’ সত্যিই তা–ই। ‘অঙ্কুর’ থেকে শুরু করে ‘আর্থ’, ‘মাসুম’ কিংবা ‘মকবুল’—প্রতিটি ছবিই যেন নারীর ভেতরের এক অজানা গল্প উন্মোচনের সাক্ষী। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, ৭৫ বছরে পা দিলেন শাবানা আজমি। এ উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে।
আমি যখন শুরু করি, তখন সমান্তরাল বা আর্ট সিনেমা বলে কিছু ছিল না। সেই সময়েই নারী চরিত্রগুলো জটিলতর হতে শুরু করেছিল। আমি সেই ধারা বদলের সঙ্গী হতে পেরেছিলাম।শাবানা আজমিসুপারস্টার নন, তবু আবেগের রানি
শাবানাকে কোনো দিনই ‘সুপারস্টার’ তকমা দেওয়া হয়নি। তিনি সম্ভবত তা হতেও চাননি। সুপারস্টার তকমা বরাদ্দ ছিল হেমা মালিনীর জন্য। কিন্তু অভিনয়ের দাপটে তিনিও ছিলেন নিজস্ব এক উচ্চতায়। রাজেশ খান্না এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘তিনি হয়তো সুপারস্টার নন, কিন্তু আবেগের সুপারস্টার।’
রমেশ সিপ্পির মতো পরিচালক অকপটে স্বীকার করেছেন, শাবানার জন্য কোনো চরিত্র না পেয়ে তিনি নিজেকে দুর্ভাগা মনে করেন। আর মনমোহন দেশাই খোলাখুলিই বলেছেন, ‘হেমার হাসিই তার সম্পদ। শাবানার হাসি নয়। তবে অর্জনের দিক থেকে কোনো অংশে কম নন।’
বোহেমিয়ান শৈশব
১৯৫০ সালে হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া শাবানা আজমি, কবি কাইফি আজমি ও অভিনেত্রী শাওকত আজমির কন্যা। ছোটবেলা থেকেই শিল্প ও সাহিত্য তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু সাফল্যের পথে তাঁর যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে তিন মাস ধরে শাবানা পেট্রলপাম্পে কাজ করেছেন, দিনে মাত্র ৩০ রুপি বেতনে কফি বিক্রি করে নিজের খরচ চালাতেন। এই সময় থেকেই শাবানা শিখেছিলেন স্বনির্ভরতার পাঠ। তিনি কখনো পরিবারের আর্থিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করেননি। কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় সংকল্প ও নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই তিনি নিজের পথ গড়েছেন।
শাবানা আজমি। ইনস্টাগ্রাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প রস ট র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশকে সুপার ফোরে তোলা শ্রীলঙ্কার জন্য একটু কঠিন
ত্রিমুখী লড়াই। আজ আবুধাবিতে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ম্যাচটি তো তা-ই! মাঠে খেলবে দুই দল, কিন্তু মাঠের বাইরে থাকা বাংলাদেশও আছে এ লড়াইয়ে। আজ শ্রীলঙ্কা জিতলে বা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তান জিতে গেলে আসবে রান রেটের হিসাব। যে হিসাবে বাংলাদেশের ছিটকে পড়ার শঙ্কা কিছুটা বেশি।
কারণ, নেট রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এগিয়ে। শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট + ১.৫৪৬, বাংলাদেশের-০.২৭০। আফগানিস্তানের নেট রান রেট + ২.১৫০। তাই বাংলাদেশ সমর্থকেরা আজ শ্রীলঙ্কার ওপর ভরসা করে থাকবে। তবে আফগানিস্তানকে হারানো শ্রীলঙ্কার জন্য খুব একটা সহজ হবে না। দুই দলের অতীত লড়াই সেই আভাসই দিচ্ছে।
টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে ৮টি ম্যাচ। যে লড়াইয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা। দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই দেখায় আফগানিস্তান হারে ৬ উইকেটে। তবে সেই আফগানিস্তান আর এই আফগানিস্তান এক নয়। রশিদ খানের নেতৃত্বে দলটি এখন অনেক শক্তিশালী।
সর্বশেষ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।