বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির নিন্দা সিপিবির
Published: 18th, September 2025 GMT
যৌথ সামরিক মহড়ার নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সামরিক বিমান ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলেছে, এই মহড়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক কৌশলের সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ফেলতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মধ্যপ্রাচ্য, লাতিন আমেরিকাসহ পুরো দুনিয়ার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, জনগণের করের টাকা ব্যয় করে এ ধরনের যৌথ সামরিক মহড়ার পেছনে বিরাট ভূরাজনৈতিক দুরভিসন্ধি লুকিয়ে থাকে, যা সংশ্লিষ্ট দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর বিরাট এক হুমকি।’
সিপিবি বলেছে, ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামের যৌথ মহড়ার আওতায় বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অনুমোদন দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তার সীমিত এখতিয়ারের বাইরে চলে গেছে। এটি বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থী। কারণ, চট্টগ্রামের মতো স্পর্শকাতর ভৌগোলিক অঞ্চলে, গভীর সমুদ্রে মার্কিন বাহিনী বহু আগে থেকেই সামরিক ঘাঁটি করার জন্য লোভের দৃষ্টি ফেলে রেখেছে।
এই মহড়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ তার ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় সামরিক কৌশলের সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ফেলতে তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে সিপিবি সরকারের এমন ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
এ ছাড়া দেশবাসীকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ‘অপতৎপরতা’ সম্পর্কে হুঁশিয়ার থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত সব ‘গোপন চুক্তি’ জাতির সামনে প্রকাশ করার দাবিও তুলেছে বামপন্থী দলটি।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫–৩ মহড়া এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সহযোগিতা২১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র মহড় র
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মিনিটের বিতর্কিত দৃশ্য দিয়ে আলোচনায়, পরে বলিউডকে বিদায় জানান সেই অভিনেত্রী
বলিউডের ইতিহাসে এমন অনেক অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন; পরে আবার হঠাৎই হারিয়ে গেছেন। কিমি কাতকার তেমনই একজন। ১৯৮০-এর দশকে বলিউডে তিনি ছিলেন আলোচিত ও সাহসী অভিনেত্রীদের একজন।
কিমির উত্থান
আশির দশকটি বলিউডে সৃজনশীল ও পরিবর্তনের সময় ছিল, যেখানে অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের ছাপ ফেলেছেন। কিমি ছিলেন সেই সময়ের অন্যতম উদীয়মান নায়িকা। পর্দায় সাহসী দৃশ্যের জন্য তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। যদিও তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত; কিন্তু এর মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন।
মুম্বাইতে জন্ম নেওয়া কিমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে, পরে তিনি চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। ১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’ দিয়ে আলোচিত হন তিনি। সিনেমার সাফল্য তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হেমন্ত বীরজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেন। তবে এ ছবিতেই একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনায় আসেন। দৃশ্যটি নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমি জানতাম না এই দৃশ্য কতটা বিতর্কিত হবে। কিন্তু অভিনয় আমার জন্য সব সময় ছিল সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ।’ এরপর ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে অমিতাভ বচ্চন, অনিল কাপুর, গোবিন্দ ও আদিত্য পঞ্চোলির সঙ্গেও সিনেমা করেন তিনি। তাঁর নাচ ও অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তোলে।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব টারজান’-এ কিমি কাতকার। আইএমডিবি