মাগুরার মহম্মদপুরে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার আসামি এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকেরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা।

আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাব মহম্মদপুরের সম্মেলনকক্ষে জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জুলাই আন্দোলনে শহীদ সুমন শেখের মা খাদিজা বেগমসহ কয়েকজন বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোর একমাত্র দাবি ছিল বিচার। অথচ রাজনৈতিক নেতারা এখন তা উপেক্ষা করছেন। জামায়াত নেতা এম বি বাকের ব্যক্তিস্বার্থে আওয়ামী লীগের একজন পদধারী নেতাকে নিজ দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন। মিথ্যা প্রত্যয়ন দিয়ে জুলাই হত্যা মামলার আসামিকে জামিন করানোর চেষ্টা করেছেন। এ ঘটনাকে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি আখ্যা দিয়ে ওই জামায়াত নেতার শাস্তির দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ হন সুমন শেখ (১৮), আহাদ আলী বিশ্বাস (১৮) নামের দুই শিক্ষার্থী। দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গত বছরের ১৫ আগস্ট মহম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলার ১৩ নম্বর আসামি শাহাবুদ্দিন মোল্যার জামিনের জন্য জামায়াত পরিবারের সদস্য বলে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে। শাহাবুদ্দিন মোল্যা উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের বাসিন্দা ও পলাশবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনের পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের।

শাহাবুদ্দিন মোল্যাকে প্রত্যয়ন দেওয়ার কথা স্বীকার করে এম বি বাকের বলেন, ‘কয়েক মাস আগে ওই প্রত্যয়নটি তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে আমার কাছে চেয়েছিল একটা চাকরির কথা বলে। তাঁর পরিবার জামায়াত করে বলে প্রত্যয়নটি দিয়েছিলাম। আমি জানতাম না, সে জুলাই হত্যা মামলার আসামি। ঘটনাটি জানার পর প্রত্যয়ন প্রত্যাহার করে নিই।’ জামায়াত নেতার দাবি, ওই প্রত্যয়ন তাঁর জামিনের জন্য ব্যবহৃত হয়নি। ওই ব্যক্তি এখনো কারাগারে আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মহম মদপ র পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা চালুর উদ্যোগ

বেক্সিমকো গ্রুপের বন্ধ কারখানাগুলো পুনরায় চালু করার জন্য জাপানের রিভাইভাল নামক একটি প্রতিষ্ঠান ২৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে রিভাইভালের সাথে যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইকোমিলি। সরকার এই যৌথ বিনিয়োগে সম্মতি দিয়েছে এবং ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে, যেখানে রিভাইভাল, জনতা ব্যাংক ও বেক্সিমকো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রাথমিকভাবে ১৫টি কারখানা চালুর চেষ্টা চলছে। বুয়েট ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ