অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ: দল নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত কমিশন সভায়
Published: 18th, September 2025 GMT
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এবং অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের সূচি আগামী কমিশন সভায় চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ জানান, ২২টি নিবন্ধন আগ্রহী দলের সরেজমিন তদন্ত শেষ হয়েছে। তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের আবেদন করেছে এবং সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে। তিনি বলেন, দল নিবন্ধন, সংলাপের তারিখ এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন—এই তিনটি বিষয় কমিশন সভায় আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।
আখতার আহমেদ জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কানাডা সফর শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন। আগামী রোববার বা সোমবার কমিশন সভা হতে পারে। সভায় দল নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে এবং কমিশনের অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হবে।
সংলাপের বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিও কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সংলাপ আয়োজন করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিন শতাধিক সংস্থা আবেদন করেছে এবং কমিশন সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে। অনুমোদনপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অংশ নিতে পারবে।
ইসি সচিব বলেন, কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখত র আহম দ অ শ জন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী