যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ডুবোড্রোন উৎপাদন করবে তাইওয়ান
Published: 19th, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ডুবোড্রোন (আন্ডারওয়াটার ড্রোন) তৈরি করবে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল চুং-শান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনসিএসআইএসটি) এই খবর জানিয়েছে।
চীনকে মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাইওয়ান। বেইজিং দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে এবং যেকোনো সময় আক্রমণ করে দখলের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাইপেকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
এনসিএসআইএসটি চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ডুরিলের সঙ্গে বারাকুডা-৫০০ নামের স্বল্প মূল্যের স্বয়ংক্রিয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার জন্য সমঝোতায় পৌঁছায়। নতুন ঘোষণার মাধ্যমে এবার তারা যৌথভাবে ডুবোড্রোন উৎপাদনেও চুক্তি সই করেছে।
এনসিএসআইএসটির প্রেসিডেন্ট লি শি-চিয়াং বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে কিংবা অবরোধ পরিস্থিতিতেও যেন প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব অস্ত্র স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
অ্যান্ডুরিলের তাইওয়ান শাখার প্রধান অ্যালেক্স চ্যাং জানান, বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করা এবং স্থানীয় উৎপাদনকে টেকসই করা যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারাকুডা-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য কেবল তাইওয়ানের উপাদান ব্যবহার করা হবে। এর সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে ১৮ মাস সময় লাগবে।
এক দশক ধরে তাইওয়ান সামরিক ব্যয় ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে আসছে। তা সত্ত্বেও তাদের প্রতিরক্ষা খাত এখনো ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে রেকর্ড ১ ট্রিলিয়ন নিউ তাইওয়ানিজ ডলার (৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) বিশেষ তহবিল চাওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এই পরিকল্পনায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সমন্বিত করা, উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে ক্ষুদ্র ড্রোন ও রকেট শনাক্ত করা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ উৎপাদন ও মজুত রাখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের সরকার সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের প্রতিরক্ষা বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ শতাংশের বেশি ধরা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্যয় জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ত ইওয় ন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ডুবোড্রোন উৎপাদন করবে তাইওয়ান
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ডুবোড্রোন (আন্ডারওয়াটার ড্রোন) তৈরি করবে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল চুং-শান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এনসিএসআইএসটি) এই খবর জানিয়েছে।
চীনকে মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাইওয়ান। বেইজিং দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে এবং যেকোনো সময় আক্রমণ করে দখলের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তাইপেকে প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।
এনসিএসআইএসটি চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ডুরিলের সঙ্গে বারাকুডা-৫০০ নামের স্বল্প মূল্যের স্বয়ংক্রিয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার জন্য সমঝোতায় পৌঁছায়। নতুন ঘোষণার মাধ্যমে এবার তারা যৌথভাবে ডুবোড্রোন উৎপাদনেও চুক্তি সই করেছে।
এনসিএসআইএসটির প্রেসিডেন্ট লি শি-চিয়াং বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালে কিংবা অবরোধ পরিস্থিতিতেও যেন প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব অস্ত্র স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
অ্যান্ডুরিলের তাইওয়ান শাখার প্রধান অ্যালেক্স চ্যাং জানান, বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করা এবং স্থানীয় উৎপাদনকে টেকসই করা যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বারাকুডা-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য কেবল তাইওয়ানের উপাদান ব্যবহার করা হবে। এর সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে ১৮ মাস সময় লাগবে।
এক দশক ধরে তাইওয়ান সামরিক ব্যয় ক্রমাগতভাবে বাড়িয়ে আসছে। তা সত্ত্বেও তাদের প্রতিরক্ষা খাত এখনো ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে রেকর্ড ১ ট্রিলিয়ন নিউ তাইওয়ানিজ ডলার (৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) বিশেষ তহবিল চাওয়া হবে।
প্রতিরক্ষা ব্যয়ের এই পরিকল্পনায় আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সমন্বিত করা, উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে ক্ষুদ্র ড্রোন ও রকেট শনাক্ত করা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ উৎপাদন ও মজুত রাখা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের সরকার সম্প্রতি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের প্রতিরক্ষা বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ শতাংশের বেশি ধরা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্যয় জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।