ইতিহাস গড়েছে কেপ ভার্দে। ছোট এই দ্বীপদেশটি এসওয়াতিনিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার পথে ‘ব্লু শার্কস’ নামে পরিচিত দলটি পেছনে ফেলেছে মহাদেশীয় পরাশক্তি ক্যামেরুনকে।

রাজধানী প্রাইয়ায় কেপ ভার্দে প্রথমার্ধে গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে এগিয়ে দেন ডেইলন লিভ্রামেন্তো। ছয় গজ বক্সে প্রতিপক্ষের রক্ষণের ভুলে পাওয়া বল জালে পাঠান। অল্প সময় পরেই উইলি সেমেদো দুর্দান্ত এক ভলিতে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। অতিরিক্ত সময়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার স্টোপিরা গোল করে ব্যবধান তিনে উন্নীত করলে ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় উল্লাসের বন্যা।

আটলান্টিক মহাসাগরে ১০টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির জনসংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজারের কম (বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী), যা ঢাকা সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যার (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে ২০২৩ সালে দুই সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ৩ লাখ) মাত্র ৫.

১০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো অঙ্গরাজ্য থেকে কেপ ভার্দের জনসংখ্যা কম।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপের টিকিট কাটল ঘানা ১৩ অক্টোবর ২০২৫

জনসংখ্যার হিসাবে কেপ ভার্দে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাওয়া দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশও বটে। এর আগে আইসল্যান্ড ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর কেপ ভার্দে প্রথমবার বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে নামে ২০০২ সালে। যদিও সফল হতে অপেক্ষা করতে হলো প্রায় ২৩ বছর।

আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে (আফকন) সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চমক দেখিয়েছে কেপ ভার্দে। ২০১৩ সালে অভিষেকেই তারা খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে, পুনরায় সেই সাফল্য আসে ২০২৩ সালেও। বর্তমানে তারা ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭০তম।

কেপ ভার্দের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয় গত মাসে। ক্যামেরুনকে ১-০ গোলে হারানোর পর থেকেই বিশ্বকাপের সুবাস পাচ্ছিল তারা। এ জন্য বাকি দুই ম্যাচে একটিতে জিতলেই চলত। এর মধ্যে লিবিয়ার মাঠে গত বুধবার ৩-৩ গোলে ড্র করে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সেদিন শেষ মুহূর্তে সম্ভাব্য জয়সূচক গোলটি বাতিল হয় বিতর্কিত অফসাইডের কারণে।

বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে কেপ ভার্দের জনগণের উদ্‌যাপন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প র র জনস খ য

এছাড়াও পড়ুন:

আয়ের চেয়ে খরচ বেশি, ১২৫ কোটি টাকা লোকসানে ডেসকো

বড় অঙ্কের লোকসানের কারণে পরপর দুই বছর শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিদ্যুৎ খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)।

গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিপরীতে কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, এ বছরও কোম্পানিটি লোকসান করেছে, যা পরিমাণে ১২৫ কোটি টাকার বেশি।

গত শনিবার ডেসকোর পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পর্ষদ সদস্যরা গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আজ রোববার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লোকসান করার তথ্য ও লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছর শেষে ডেসকো ১২৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে। তবে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক কম। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডেসকোর লোকসানের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ডেসকোর লোকসান ৩৮০ কোটি টাকা বা ৭৫ শতাংশের বেশি কমেছে।

এদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সরকারি এই কোম্পানিটির বড় ধরনের লোকসানের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কোম্পানিটির আয়ের তুলনায় বেতন-ভাতাসহ প্রশাসনিক খরচ বেশি। এ ছাড়া সুদ পরিশোধসহ বড় অঙ্কের আর্থিক খরচ ও ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কোম্পানিটির।

* লোকসান ও লভ্যাংশ না দেওয়ার খবরে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮০ পয়সা বা প্রায় পৌনে ৪% কমে ২১ টাকায় নামে।
* ডেসকো সর্বশেষ ২০২৩ সালে শেয়ারধারীদের ১০% নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছর কোম্পানিটির বিদ্যুৎ সরবরাহ করে কমিশনবাবদ আয় করে ৩৫৫ কোটি টাকা। তার বিপরীতে বেতন-ভাতাসহ কোম্পানিটির প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ৩৫৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ খরচ ছিল ৩২৫ কোটি টাকা। ওই বছর বেতন-ভাতাসহ কর্মীদের পেছনে কোম্পানিটির খরচ ছিল ২৯২ কোটি টাকা। সুদ পরিশোধসহ অন্যান্য খাত মিলিয়ে আর্থিক খরচের পরিমাণ ছিল ১৮০ কোটি টাকা। এর বাইরে ওই বছর ডলারের বিনিময়মূল্যের কারণে কোম্পানিটির ২৪৩ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এসব কারণেই মূলত ডেসকোকে কয়েক বছর ধরে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এই লোকসানের পরিণতি সাধারণ শেয়ারধারীদেরও ভোগ করতে হচ্ছে। কারণ, কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে দুই বছর ধরে কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছেন না তাঁরা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২৩ সালে শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এদিকে লভ্যাংশ না দেওয়ায় ও লোকসানের খবরে রোববার কোম্পানিটির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এ দিন ঢাকার বাজারে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৮০ পয়সা বা প্রায় পৌনে ৪ শতাংশ কমে ২১ টাকায় নেমে আসে। ৩৯৭ কোটি টাকা মূলধনের এই কোম্পানির শেয়ারের ৬৭ শতাংশের মালিকানা রয়েছে সরকারের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৪ শতাংশ ও ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রায় ৯ শতাংশ শেয়ার আছে।

পরপর দুই বছর শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানিকে আজ সোমবার থেকে দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা হচ্ছে। ফলে আজ থেকে কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঋণসুবিধা পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। পাশাপাশি এই শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তিতেও বেশি সময় লাগবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত, কারণ অনিবার্য
  • প্রিমিয়ার লিগ: ৯০ মিনিটের পরেই এবার সবচেয়ে বেশি নাটক
  • ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ‘ফার্স্ট বয়’ হতে চান আনচেলত্তি
  • কাঁদতে কাঁদতে রেললাইনে বসেন তরুণ, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
  • অরিজিতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ভুল স্বীকার করলেন সালমান
  • হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিচ্ছে, তারা কারা
  • আয়ের চেয়ে খরচ বেশি, ১২৫ কোটি টাকা লোকসানে ডেসকো
  • দেশব্যাপী টাইফয়েডের টিকাদান শুরু
  • আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন: ফারহান