বিশেষ পোশাক পরে মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের
Published: 15th, October 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুন লাগা রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের দুজন সদস্য। এ জন্য তাঁরা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক (কেমিক্যাল স্যুট) পরছেন।
শিয়ালবাড়ির এই গুদামে গতকাল মঙ্গলবার লাগা আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুদামটি টিনশেড দোতলা। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। লাশগুলো চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। এখানে প্রবেশ করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এখানে ঢোকার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের বিশেষ সুরক্ষা পোশাক পরতে হচ্ছে।
যে ভবন ও গুদামে গতকাল আগুন লাগে, তার আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানা আজ সকালে খোলা হয়েছিল।
গুদাম থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ায় কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস মাইকিং করে কারখানাগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
রূপনগর থানাধীন শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আর এন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটি চারতলা হলেও ছাদে টিনশেড দিয়ে আরও একটি তলা করা হয়েছে। এই ভবন এবং টিনশেডের রাসায়নিক গুদামে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ভবন ও গুদাম কোনোটিরই ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।
গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার চেষ্টার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভানো যায়নি। ফলে সেখানে কোনো লাশ আছে কি না, ফায়ার সার্ভিস জানাতে পারেনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ রতল
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ১০ জনের মরদেহ শনাক্তের দাবি করেছেন স্বজনেরা।
এই তথ্য জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সবগুলো লাশের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। তবে ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি করেছেন স্বজনেরা। ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে এখন সবগুলো লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হবে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে স্বজনদের কাছে আপাতত এই ১০টি লাশ হস্তান্তর করা যাবে।
শিয়ালবাড়ির একটি টিনশেড দোতলা রাসায়নিক গুদামে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ১৬টি লাশ গতকাল সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আজ দুপুরের দিকে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, নয়জন পুরুষ ও সাতজন নারীর লাশ এখানে এসেছে। লাশগুলো হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনেরা চাইলে, আর পুলিশ বা জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে শনাক্ত হওয়া লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা যাবে।
আরও পড়ুনবিশেষ পোশাক পরে মিরপুরের রাসায়নিক গুদামে ঢোকার প্রস্তুতি ফায়ার সার্ভিসের১ ঘণ্টা আগেশিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়কে টিনশেডের রাসায়নিক গুদাম ও চারতলা ভবনটি অবস্থিত। ভবনটির দোতলায় স্মার্ট প্রিন্টিং নামের একটি কারখানায় টি-শার্ট প্রিন্ট করা হয়। আর তিন ও চারতলায় আরএন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা আছে।
আরও পড়ুনবিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পড়ে ‘বিষাক্ত গ্যাস’, কারখানার ছাদের দরজা ছিল তালাবন্ধ১৫ ঘণ্টা আগেসরেজমিন দেখা গেছে, ভবনটি চারতলা হলেও ছাদে টিনশেড দিয়ে আরও একটি তলা করা হয়েছে। এই ভবন ও টিনশেডের রাসায়নিক গুদামে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ভবন ও গুদাম কোনোটিরই ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬১৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনস্বামী-স্ত্রী ছিলেন কারখানায়, আগুন লাগার পর দুজনই নিখোঁজ১৪ ঘণ্টা আগে