মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থী নিহত
Published: 15th, October 2025 GMT
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা ওয়াহেদ অমি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুরের ফতেহপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত, আহত অন্তত ২০
মেহেরপুরের সড়কে ঝরল জাবি শিক্ষার্থীর প্রাণ
অমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় তার স্বামীও গুরুতর আহত হয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফারহানা ওয়াহেদ অমি তার স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ফতেহপুর এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন অমি এবং তার স্বামী গুরুতর আহত হন।
এদিকে, শিক্ষার্থী ফারহানা ওয়াহেদ অমির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
শোকবার্তায় উপাচার্য বলেন, “ফারহানা ওয়াহেদ অমির অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় একজন মেধাবী ও সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থীকে হারালো। তার পরিবারের জন্য এ ক্ষতি অপূরণীয়।” তিনি এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে দোষী চালকের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উপাচার্য নিহত অমির আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তিনি আহত স্বামীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এদিকে, জাকসুর সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) অমির ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে সম্মানিত করুন- এই দোয়া করছি।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় ফ রহ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নম্বর ছাত্র হলে নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন ২১ নম্বর হলের তানভীর রহমান (মুন), আবদুল্লাহ আল ফাহাদ ও আবদুল্লাহ আল সাঈদ। শহীদ রফিক–জব্বার হলের আবু তালহা রনি, রাজীব শেখ ও তাসনিমুল হাসান জুবায়ের। মওলানা ভাসানী হলের এস এম মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন ও আহম্মেদ আরেফিন রাতুল। আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, আল হাসিব, আবদুল্লাহ আল নোমান ও উশান্ত ত্রিপুরা এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের রাকিবুল হাসান (নিবির) ও জাহিদুল ইসলাম। তাঁরা প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৫৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রোববার রাতে বিভাগটির দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীরা নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথমে রফিক–জব্বার চত্বরে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁদের ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে যেতে বলা হয়। কক্ষে প্রবেশের পর নবীনদের শার্টের হাতা গুটিয়ে দুই সারিতে দাঁড় করিয়ে মুঠোফোন বন্ধ রাখতে বলা হয়।
দরজা–জানালা বন্ধ করে আলো নিভিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট তাঁদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় হলের নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলা মেনে চলার বিষয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। খবর পেয়ে হল সংসদের নেতা, নিরাপত্তাকর্মী ও সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতেই জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। গরমের কারণে আলো নেভানো ছিল এবং পাশের কক্ষে পরীক্ষার্থী থাকায় যেন শব্দ না হয়, তাই দরজা–জানালা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা হল সংসদের প্রতিনিধি, কিছু শিক্ষার্থী ও হলের কয়েকজন স্টাফসহ তাদের হাতেনাতে ধরেছি। এটা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী একটি কাজ।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী প্রক্টর মো. আল–আমিন খান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফ। কমিটিকে আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।