৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেবে সিআইডি
Published: 15th, October 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে নিহত ১৬ জনের মধ্যে ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসব মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়।
তবে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সব মরদেহই ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকবে।
রূপনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আজ সন্ধ্যায় ৬ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক চিকিৎসকেরা ওই সব মরদেহ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হতে সব দাবিদারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাব। পোশাক কারখানার নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে মালিবাগে সিআইডির ল্যাবে যেতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ল্যাবের পরীক্ষক মাসুদ রাব্বি।
রূপনগর থানার এসআই মোখলেছুর বলেন, বাকি মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত পর্যায়ক্রমে করা হবে। তিনি আরও বলেন, ডিএনের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
শিয়ালবাড়ির একটি টিনশেড দোতলা রাসায়নিক গুদামে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। সেদিনও সন্ধ্যার পর মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ময়ন তদন ত স বজনদ র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্তের দাবি
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যের একজন নার্গিস আক্তার বলে দাবি করেছেন বোন পরিচয় দেওয়া মৌসুমি। তাঁর দাবি, পায়ে থাকা নূপুর দেখে বোনের লাশ শনাক্ত করেছেন তিনি।
আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন মৌসুমি।
গতকাল মঙ্গলবার শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে। গুদামে আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়ে পাশের চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চারতলা ভবনের দোতলা ও তিনতলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশগুলো গতকাল সন্ধ্যার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনমিরপুরে আগুন: ১০ জনের লাশ শনাক্তের দাবি স্বজনদের১ ঘণ্টা আগেমৌসুমি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন নার্গিস (১৯) মাত্র ১৫ দিন আগে চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন। নার্গিস কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। কারখানাটির লাইনম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
মৌসুমি বলেন, পায়ে থাকা নূপুর দেখে তিনি তাঁর বোনের লাশ চিনতে পেরেছেন।
মৌসুমি জানান, তাঁদের বাবার নাম ওয়াজিউল্লাহ। তিনি ফলের আড়তে কাজ করেন।
মর্গের সামনে জড়ো হওয়া ভুক্তভোগী স্বজনদের একজন ফাতেমা বেগম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে মাহিরা আক্তার (১৪) চারতলা ভবনটির তিনতলার কারখানায় কাজ করতেন। মেয়ের লাশ দেখে তিনি চিনতে পেরেছেন।
ফাতেমা বেগম (বাঁয়ে) বলছেন, তাঁর মেয়ের নাম মাহিরা আক্তার। তাঁর লাশ শনাক্ত করতে পেরেছেন তিনি। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে