কাজী মামুনকে ফাঁসানো হয়েছে: যুব সংহতি
Published: 15th, October 2025 GMT
মানবিক মানুষ হিসেবে আতিথিয়েতার জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে দাবি করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয় যুব সংহতি। একইসাথে তাদের সদস্য সচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলেরও মুক্তি দাবি করে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাথে জাপা নেতাদের সাক্ষাৎ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন: জিএম কাদের
এ সময় যুব সংহতির আহ্বায়ক আবুল হাসান আহমেদ জুয়েল বলেন, “জাতীয় পার্টির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দলীয় মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিকে আতিথিয়েতার কারণে মহাসচিব কাজী মামুনকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় ফাঁসানো হয়। এটা অমানবিক।”
এক প্রশ্নের উত্তরে জুয়েল বলেন, “জাপা মহাসচিব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে জনৈক এনায়েত করিমকে তিনি আতিথিয়েতা করেছেন। ঐ ব্যক্তির সাথে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নাই এবং তিনি কি করেন কিংবা কেনো বাংলাদেশে এসেছেন সে সম্পর্কে জাপা মহাসচিব অবগত নন।”
যুব সংহতির আহ্বায়ক বলেন, “রিফাতুল ইসলাম পাভেল একজন চাকরিজীবী। স্বনামধন্য একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাব্যবস্থাপক।তিনি সম্প্রতি যুব সংহতির সদস্য সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। কাজী মামুনুর রশিদকে ব্যবসায়িকভাবে দুর্বল করার লক্ষ্যে তাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের ভিডিও ভাইরাল
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে চার যুবকের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর কলেজ এলাকার বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি গত মে মাসের। ভিডিওতে থাকা যুবকেরা ‘রাসেল-ফয়সাল বাহিনী’ নামের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য এবং শ্রীনগর উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের নাম ফয়সাল, রাসেল, অর্পণ, আহির। তাঁদের সবার বয়স ২৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জনশূন্য একটি স্থানে দাঁড়িয়ে আছেন চার যুবক। তাঁদের মধ্যে দুজনের হাতে দুটি পিস্তল। একজনকে পিস্তল দেখিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘দামি কিন্তু এইডা, দুইডা দিয়া শট করমু।’ জবাবে অন্যজন বলেন, ‘দুইডা দিয়া শট করা যাইব না, একটা দিয়া শট করতে হইব। গুল্লি রেয়ার, পাওয়া যায় না।’ একজন বলেন, ‘লকটা খুলে টিপ দিলেই গুলি বের হইব।’ এ সময় পিস্তল হাতে নিয়ে আকাশের দিকে গুলি করার চেষ্টা করেন একজন। কীভাবে গুলি করতে হবে, পাশ থেকে বলছিলেন আরেক যুবক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিডিওতে থাকা যুবকদের মধ্যে রাসেলের বাড়ি উপজেলার বাঘরা এলাকায়। ফয়সালের বাড়ি কামারখোলা। আর সাদা টি–শার্ট, কালো প্যান্ট ও টুপি পরা আহিরের বাড়ি শ্রীনগর ইউনিয়নের মথুরা পাড়ায় এবং অন্যজন একই এলাকার কালো পাঞ্জাবি পরা অর্পণ।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমূল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ভিডিওটি গত মে মাসের। এটি শ্রীনগর কলেজের পেছনের পুকুরপাড় এলাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীনগরের পরিবেশ এখন শান্ত। পরিবেশ ঘোলাটে করতে পাঁচ মাস আগের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাঁরা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁদের সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। সবাই আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাসেলের দুটি চোখ প্রতিপক্ষের লোকজন উপড়ে ফেলেছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।