ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর তা সাধারণীকরণ করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে ইউএনডিপির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ইউএনডিপির কাছে নির্বাচনি ব্যবস্থা উন্নয়নে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে প্রযুক্তিগত ও কারিগরিসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তবে আর্থিক ও ইভিএম বিষয়ে কোনো সহায়তা চাওয়া হয়নি।’’ 

আরো পড়ুন:

বেশি সংস্কার না চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট: প্রেস সচিব

বদিউল আলম মজুমদার
সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়

তিনি আরো বলেন, ‘‘ইউএনডিপির কাছে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সহায়তা চেয়েছি, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে। তারা এ বিষয়টা পর্যালোচনার জন্য এসেছিলেন। কমিশনের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে ১০ দিনের মধ্যে একটা প্রস্তাবনা নিয়ে আবার আসবেন। মূলত আজ কাজের পরিধি ঠিক করে নেওয়ার বৈঠক ছিল।’’

ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, ‘‘ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে আমাদের কিছু উপকরণের ঘাটতি রয়েছে, সেগুলো দেওয়ার জন্য বলেছি। ঘরে ঘরে যেয়ে তথ্য আনার পর কাস্টমাইজেশনে তারা সহায়তা করবে। সহায়তাটা হচ্ছে কারিগরি। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা আছে, সেগুলোতে তারা সহায়তা করবে।’’

ইউএনডিপির প্রতিনিধিদলটি প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। পরে তারা চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো.

আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। 

পরে প্রতিনিধিদলটি ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের নেতৃত্বে ইসির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় ইউএনডিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি এম. মাজহারুল ইসলাম, জাতিসংঘ মিশনের নিড অ্যাসেসমেন্ট সারা পিট্রোপাওলি, আদিত্য অধিকারী ও নাজিয়া হাশেমী, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস এবং বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

উইন্ডোজের দুটি ‘জিরো ডে’ নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করল মাইক্রোসফট

জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলে দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্যাঁচ উন্মুক্তের আগে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারে, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি বলা হয়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে এমনই দুটি জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পাওয়ার পর তড়িঘড়ি করে সেগুলোর সমাধান করে জুন আপডেট উন্মুক্ত করেছে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, জুন আপডেটে দুটি জিরো ডে ত্রুটিসহ মোট ৬৬টি নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করা হয়েছে। প্রথম জিরো ডে ত্রুটিটি ছিল মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ওয়েব ডিসট্রিবিউটেড অথরিং অ্যান্ড ভার্সন সেবায়। দ্বিতীয় জিরো ডে ত্রুটিটি ছিল উইন্ডোজের এসএমবি (সার্ভার মেসেজ ব্লক) ক্লায়েন্ট প্রযুক্তিতে। সিভিই-২০২৫-৩৩০৫৩ এবং সিভিই-২০২৫-৩৩০৭৩ নামের ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একটি জিরো ডে ত্রুটি ইতিমধ্যে সাইবার হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাই দ্রুত নিরাপত্তা হালনাগাদটি ব্যবহার করতে হবে।

মাইক্রোসফটের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ত্রুটিগুলোর মধ্যে ২৫টি রিমোট কোড এক্সিকিউশন, ১৩টি এলিভেশন অব প্রিভিলেজ, ১৭টি তথ্য ফাঁস, ৩টি নিরাপত্তা বাইপাস, ৬টি ডিনায়াল অব সার্ভিস এবং ২টি স্পুফিং ঘরানার ত্রুটি ছিল। আর তাই এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা এসব ত্রুটির কারণে সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, গত মার্চে তুরস্কের একটি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা করার সময় উইন্ডোজের জিরো ডে ঘরানার প্রথম ত্রুটিটি শনাক্ত করা হয়। বিষয়টি মাইক্রোসফটকে জানালে প্রতিষ্ঠানটি সেটিকে সিভিই-২০২৫-৩৩০৫৩ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে এবং ১০ জুন নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করেছে।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি কার্যালয়ে মাইক্রোসফট টিমসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করছে জার্মানির একটি স্টেট, কেন
  • উইন্ডোজের দুটি ‘জিরো ডে’ নিরাপত্তাত্রুটির সমাধান করল মাইক্রোসফট