পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃত্ববাদের পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এনসিটিবির এ সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী সময়ে সংক্ষুব্ধ আদিবাসীদের ওপর ধারাবাহিক হামলা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের চেতনা ও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রতারণা। সংস্থাটি জবাবদিহিসহ এই প্রতিষ্ঠানকে কর্তৃত্ববাদের দোসরমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড.

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এনসিটিবি প্রমাণ করতে চেয়েছে, গত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদের পতন হলেও এই সংস্থায় কর্তৃত্ববাদের চর্চার পরিবর্তন হয়নি। বরং যৌক্তিক প্রশ্ন উঠেছে– এনসিটিবি কি বাস্তবে কর্তৃত্ববাদের এজেন্ডা বহাল রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত?’ নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বাংলাদেশে আদিবাসী পরিচয় ব্যবহার করা 
যাবে না– এমন কথা বলেছিল কর্তৃত্ববাদী সরকার। আদিবাসী পরিচয়ের ব্যাখ্যা না জানা এনসিটিবির জন্য লজ্জাজনক। শুধু তাই না, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বিচার-বিবেচনা না করে এক পক্ষের আব্দারের দোসর হওয়া ফ্যাসিবাদী আচরণের প্রতিফলন।

পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি রাখা-না রাখা নিয়ে রাজধানীর মতিঝিলে এনসিটিবি ভবনের সামনে গত বুধবার সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা করা হয়। পরে সংক্ষুব্ধরা অভিযোগ করে, স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি এই হামলা চালায়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও পরিচয় হিসেবে আদিবাসী শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। এটা জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত প্রধান উপদেষ্টার ২৫ আগস্ট ২০২৪-এর ভাষণে আদিবাসী পরিচয়বিষয়ক শব্দচয়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট আইব এনস ট ব

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ