ভারতীয় প্রেমিক যুগল অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে আটক হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে প্রবেশের অপরাধে মামলা হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করার অপরাধে বাংলাদেশি এক যুবককেও আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার দুপুরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাটারী সীমান্তে।

আটক ভারতীয় যুবক সৌরভ কুমার সাপুই (১৯) দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উশতী থানার গড়খালী গ্রামের দেব কুমার সাপুই এর ছেলে। আর ভারতীয় রেশমা মণ্ডল জান্নাত (২৭) পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার ধামাই গ্রামের বাবর আলী মণ্ডলের মেয়ে। জান্নাতের আগে বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে সাড়ে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকার হাত ধরে পালিয়ে আসেন তিনি। 

বিজিবি ও আটক প্রেমিক যুগল জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়েতে তারা সম্মত হন। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাততে তিন আগে ঘর ছাড়েন এই প্রেমিক যুগল। অবশেষে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালহাহ ও নটকো বাড়ি সীমান্তে এসে পৌঁছান তারা। সেখান থেকে তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন প্রেমিক যুগল। কিন্তু সাহস পাচ্ছিলেন না। পরে মোবাইল ফোনে বাংলাদেশি যুবক ইউনুছ আলী (২২) সঙ্গে চুক্তি করেন তারা। তাদেরকে বাংলাদেশে নিরাপদে নিয়ে আসা এবং জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ইউনুছ। রোববার ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাটারী সীমান্তে ৯৩৩ নং আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের সাব পিলার ১০ এর কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বালারহাট টহলরত বিজিবির হাতে আটক হন তারা। একই সঙ্গে আটক করা হয় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কাশির ডেরা গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে ইউনুছকেও। 

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধীন বালারহাট টহলরত বিজিবির নায়েক হুমায়ন আলী জানান, ভারতীয় দুজন এবং বাংলাদেশের একজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। 

ফুলবাড়ী থানার ওসি মামুনুর রশীদ জানান, বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে প্রবেশের অপরাধে ভারতীয় প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে মানব পাচার রোধ আইনে মামলা হয়েছে। আসামিরা থানায় রয়েছে। সোমবার তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ