লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবি জামায়াতের
Published: 19th, October 2025 GMT
নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে জেলা জামায়াতের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১
ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবি পুনরায় সরকারের কাছে জোরালোভাবে উত্থাপন করছি। লক্ষ্মীপুর জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধার উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।”
তিনি বলেন, “এই বিষয়ে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তা হলো- ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। ওই জরিপে কয়েকটি সম্ভাব্য রেলস্টেশন শনাক্ত করা হয় এবং স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে রেললাইন স্থাপনের জন্য একটি চাহিদাপত্র রেল মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয় (ডিও নং–যোম/মামদ/২০১৪-৪৯১)।”
তিনি আরো বলেন, “ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় (চট্টগ্রাম) চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ অঞ্চলের মানুষ আজো রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, লক্ষ্মীপুরে রেল সংযোগ চালু হলে, আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গতি আসবে, কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, কর্মসংস্থান ও বিনিযোগের সুযোগ বাড়বে এবং চট্টগ্রাম, ঢাকা ও চাঁদপুরসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আরো দ্রুত ও সহজতর হবে।”
রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি যে, জনস্বার্থ বিবেচনায় অবিলম্বে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর রেল সংযোগ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।”
গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকার মাধ্যমে এই জনপদের মানুষের ন্যায্য দাবি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং এ অঞ্চলের মানুষ দ্রুতই আধুনিক রেল যোগাযোগের সুবিধা পাবে বলে আশা করেন জামায়াত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটোয়ারী, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান প্রমুখ।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর লক ষ ম প র চ ম হন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবি জামায়াতের
নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে জেলা জামায়াতের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১
ঢাকা-গোপালগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবি পুনরায় সরকারের কাছে জোরালোভাবে উত্থাপন করছি। লক্ষ্মীপুর জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধার উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।”
তিনি বলেন, “এই বিষয়ে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য আমরা আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তা হলো- ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। ওই জরিপে কয়েকটি সম্ভাব্য রেলস্টেশন শনাক্ত করা হয় এবং স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে রেললাইন স্থাপনের জন্য একটি চাহিদাপত্র রেল মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয় (ডিও নং–যোম/মামদ/২০১৪-৪৯১)।”
তিনি আরো বলেন, “ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় (চট্টগ্রাম) চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ অঞ্চলের মানুষ আজো রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, লক্ষ্মীপুরে রেল সংযোগ চালু হলে, আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গতি আসবে, কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, কর্মসংস্থান ও বিনিযোগের সুযোগ বাড়বে এবং চট্টগ্রাম, ঢাকা ও চাঁদপুরসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আরো দ্রুত ও সহজতর হবে।”
রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি যে, জনস্বার্থ বিবেচনায় অবিলম্বে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর রেল সংযোগ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।”
গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকার মাধ্যমে এই জনপদের মানুষের ন্যায্য দাবি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং এ অঞ্চলের মানুষ দ্রুতই আধুনিক রেল যোগাযোগের সুবিধা পাবে বলে আশা করেন জামায়াত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, “লক্ষ্মীপরে রেললাইন স্থাপন এই অঞ্চলের ২৫ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। লক্ষ্মীপুর একটি কৃষি প্রধান এলাকা। এই জেলায় রেললাইন স্থাপন করা হলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি জেলার কৃষিপণ্য পরিবহনে বিপ্লব ঘটবে। আমরা জেলার ২৫ লাখ জনগণের প্রাণের দাবি রেললাইন স্থাপন নিয়ে কাজ করব।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটোয়ারী, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান প্রমুখ।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মেহেদী