দিনাজপুরের বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে ট্রেন থেকে পড়ে আজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
ছুরিকাঘাতে জবি শাখা ছাত্রদল নেতা নিহত
মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ১
বিষযটি নিশ্চিত করেছেন হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ‑পরিদর্শক মো.
তাজরুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিরামপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে, সেতু নম্বর ২৭৫ ও পিলার নম্বর ২৪৯ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি সম্ভবত হকার ছিলেন। তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নিহতের পরিচয় বের করার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ উদ্ধারসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টানা দরপতনে আবার আতঙ্ক শেয়ারবাজারে
বড় ধরনের টানা দরপতনে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক ভর করেছে। টানা পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের কাছাকাছি চলে আসায় এই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। এ কারণে আজ রোববার ঢাকার বাজারে ক্রেতা না থাকায় অনেক কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন হয়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান এই শেয়ারবাজারের প্রধান সূচকটি আজ ৭৫ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্টে। গত প্রায় তিন মাসের মধ্যে এটিই ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে সর্বশেষ গত ৯ জুলাই ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ৩৫ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। শেয়ারবাজারে সূচকের ৫ হাজার পয়েন্টের অবস্থানকে মনস্তাত্ত্বিক সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে সূচক যখনই এ ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সীমার কাছাকাছি নেমে আসে, তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করে। সেই আতঙ্ক থেকে অনেক বিনিয়োগকারী লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দেন। তাতে সূচক আরও দ্রুত কমতে থাকে। বাজারে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে একধরনের অস্থিরতা দেখা দেয় বাজারে, যেটি এখন চলছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচকটি ৪০৪ পয়েন্ট বা সাড়ে ৭ শতাংশ কমে গেছে। চলতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে অর্থাৎ ৫ অক্টোবর ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে। আর আজ তা কমে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্টে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ভর করেছে। ফলে নতুন করে কেউ বিনিয়োগ করছেন না। উল্টো হাতে থাকা শেয়ারও লোকসানে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে শেয়ারের দাম টানা কমতে থাকায় বাজারে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলও বেড়েছে। শেয়ারের বিপরীতে যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের ঋণ দিয়েছিল, এখন শেয়ারের দাম কমতে থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠান ঋণ আদায়ে জোরপূর্বক শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। শেয়ারের বিপরীতে ঋণের ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরপূর্বক এই বিক্রির আইনি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বাজারের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা মানুষের মনে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও রাজনৈতিক অনৈক্যে মানুষের মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতিও কমে এসেছে। সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তার প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়ছে। এ ছাড়া অতীতের নানা অনিয়ম তদন্ত ও একের পর এক শাস্তির বিধানে বড় বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। দীর্ঘ মেয়াদে এসব পদক্ষেপের সুফল হয়তো পাওয়া যাবে, কিন্তু স্বল্প মেয়াদে যে প্রভাব পড়ছে, সেটি কাটিয়ে ওঠা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখন দিশাহারা অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের সঠিক পথ দেখাতে না পারলে বাজারের প্রতি আস্থা ফিরবে না।
এদিকে বড় দরপতনের বাজারে লেনদেনও কমে গেছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৪২ কোটি টাকা, গত পাঁচ মাসের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে সর্বশেষ ডিএসইতে সর্বনিম্ন ৪১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল ২৫ জুন।