‎দিনাজপুরের বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে ট্রেন থেকে পড়ে আজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

ছুরিকাঘাতে জবি শাখা ছাত্রদল নেতা নিহত

মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ১

বিষযটি নিশ্চিত করেছেন হিলি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ‑পরিদর্শক মো.

 তাজরুল ইসলাম।

তাজরুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিরামপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে স্টেশন থেকে প্রায় ২০০ গজ দক্ষিণে, সেতু নম্বর ২৭৫ ও পিলার নম্বর ২৪৯ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

‎তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি সম্ভবত হকার ছিলেন। তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নিহতের পরিচয় বের করার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহ উদ্ধারসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে নিজেরাই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরতলীর ১৮নং লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। এ দিন নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা না-নেওয়ায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। খাতা সংগ্রহ, খাতা বিতরণ, শৃঙ্খলা রক্ষা, সব কিছুই সামলান তারা। 

অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, তবে পরীক্ষার সময় কর্মবিরতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা বলেন, সন্তানদের সারা বছরের পরিশ্রমের মূল্যায়ন এই পরীক্ষা। আন্দোলনের কারণে সেটা নষ্ট হতে দিতে পারি না। এ কারণে বাধ্য হয়ে নিজেরাই পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কুষ্টিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদুল করিম বলেন, ‘‘অভিভাবকদের তীব্র চাপ এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশনার মুখে পরীক্ষা নিতে হয়েছে। পরীক্ষায় অভিভাবকরাই সহযোগিতা করছেন।’’ 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘অভিভাবকদের সহযোগিতায় আজকে লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। কারণ সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে। অভিভাবকদের সহযোগিতা ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। জেলায় ৮০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা পরীক্ষা নিচ্ছেন না। যেসব শিক্ষক আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা নিচ্ছেন না তাদের তালিকা করা হচ্ছে।’’

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে ‘দৃশ্যমান অগ্রগতি’ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কমপ্লিট শাটডাউন ও সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
 

ঢাকা/কাঞ্চন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ