ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামী তিন দিন নন-শিডিউল ফ্লাইটগুলোর সব ধরনের খরচ মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল

শাহজালালের কার্গো ভিলেজের আগুন ৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় ২১টি ফ্লাইট ডাইভার্ট ও বাতিল করতে হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আগামী তিন দিন যেসব নন-শিডিউল ফ্লাইট আসবে, তাদের সব খরচ আমরা মওকুফ করেছি। যাত্রীদের খাবার, থাকা ও সেবার দায়িত্বও আমরা নিয়েছি। তবে একসঙ্গে অনেক ইস্যু সামলাতে হচ্ছে, ফলে কিছু ব্যত্যয় ঘটতে পারে।’’ 

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভানো সম্ভব হয়। উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দর চালু করা, আমরা তা করতে পেরেছি।’’

বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্টের কাজ চলছে। ধ্বংসের আর্থিক ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের ওজন নির্ধারণের পাশাপাশি খাতভিত্তিক বিশ্লেষণের কাজও করা হচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা।
 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ নিরাপত্তা মহড়া

রাজশাহীর হযরত শাহমখদুম (রহ.) বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা মহড়া ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন এলাকায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মহড়া পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।

মহড়ার কাল্পনিক দৃশ্যে দেখানো হয়, যশোর বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি আসে। কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি কল পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক ইমার্জেন্সি অপারেশসন সেন্টার সক্রিয় করেন। পরে রিস্ক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই একযোগে জরুরি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এই নিরাপত্তা মহড়ায় অংশ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ, এপিবিএন, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আরো কয়েকটি সংস্থা। 

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, “এ ধরনের মহড়া দুর্বলতা শনাক্ত, আন্তঃসংস্থার সমন্বয় বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তার ভাষায়, “সমন্বিত দক্ষতা থাকলে যে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি দ্রুত ও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।”

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ১৮ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এভসেক, বিমানবাহিনী টাস্কফোর্স, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এপিবিএন, পুলিশ ও আনসারের সমন্বিত প্রচেষ্টায় কার্গো টার্মিনাল থেকে টার্মিনাল-৩ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের মতো পরিস্থিতিতে চুরি, লুট বা নাশকতার ঝুঁঁকি থাকলেও, সেদিন নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্বের কারণে কোনো এমন ঘটনা ঘটেনি।”

মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তুতি ও দক্ষতা প্রত্যক্ষ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতিটি সংস্থাই প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। জাতীয় স্বার্থে আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।”

মহড়ায় অন-সিন কমান্ডার ছিলেন- বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক দিলারা পারভীন। তিনি জানান, প্রতি দুই বছরে একবার এমন পূর্ণাঙ্গ মহড়া আয়োজন বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির হুমকি, ছিনতাই, বোমা হামলা ও অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা যাচাই এবং অংশীজনদের প্রস্তুতি বাড়াতেই এ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।

এ মহড়ায় চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমডোর মো. আসিফ ইকবাল। উপস্থিত ছিলেন- বেবিচকের সদস্য (প্রশাসন) এস এম লাবলুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মাদ নাজমুল হক, সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হযরত গোলাপ শাহ্ মাজারে ১০ মাসে দান ৫৭ লাখ টাকা
  • শাহমখদুম বিমানবন্দরে ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ নিরাপত্তা মহড়া