Samakal:
2025-09-18@09:22:22 GMT

গাজায় ৫০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ

Published: 19th, January 2025 GMT

গাজায় ৫০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী খান ইউনিসের ছোট একটি অ্যাপার্টমেন্টে বাস করেন আবির আল-আওয়াদির। সেখান থেকে যতদূর চোখ যায়, দেখা যায় উপত্যকাটির যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ছবি। তবুও আবির প্রতি মুহূর্তে বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতির ক্ষণগণনা করতে থাকেন। কারণ, এর ওপর নির্ভর করছে তাঁর মেয়ে হানার জীবন।

আবির যখনই তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়ে হানার মুখের ওপর থেকে কম্বল সরিয়ে দেন, তখনই সে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। কারণ, সামান্য আলোর ঝলকও সে সইতে পারে না। আলো পড়লেই তার ফোলা চোখে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। চোখের সামনে মেয়ের ভয়ানক কষ্ট সহ্য করতে হয় আবিরকে। এ ছাড়া আর কিছুই করার উপায় নেই তাঁর। হানার শরীর ক্যান্সার গ্রাস করেছে। তিন মাস ধরে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই রয়েছে সে। তাই যুদ্ধবিরতিই তার বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে যেতে পারে হানাসহ আহত অনেক ফিলিস্তিনি।

রোববার প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়। আবির বলেন, আমি জানি না, হানা আর কতদিন বেঁচে থাকবে। তবে তার চিকিৎসা তো শুরু হবে। তার মতো হাজারো ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি ও রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। চুক্তির অংশ হিসেবে রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ায় আহত ফিলিস্তিনিরা চিকিৎসার জন্য সেখানে যেতে পারবেন।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজার হাজারো ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস করছেন। কেউ নেমেছেন যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে, কেউ প্রিয়জনের কবর জিয়ারত করতে, আবার কেউ ফিরে যাচ্ছেন তাদের ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িতে। আর আহতরা আছেন তাদের সুচিকিৎসা হবে কিনা, সে চিন্তায়।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকাটির স্বাস্থ্যসেবা খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। মানবসম্পদের অবক্ষয় হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনেও সাহসী ভূমিকা পালন করা চিকিৎসকদেরও সামান্যই বেঁছে আছেন।

সিএনওয়াই গ্র্যাজুয়েট সেন্টারের অধ্যাপক কোরি শের এবং ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জামন ফন ডেন হোক স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে গাজার ক্ষয়ক্ষতির পরিসর যাচাই করেছেন।

১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিশ্লেষণে তারা অনুমান করেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহুরে এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে এবং কিছু অবকাঠামোতে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে।

জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টারের (ইউএনওস্যাট) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরুতে গাজার ৬৯ শতাংশ ভবন ও স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে সঙ্গে গাজার রাস্তাঘাটের ৬৮ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। অনেক হাসপাতাল এবং এর আশপাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার একাধিক উদাহরণ পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘের তথ্যে বলা হয়েছে, গাজার ৫০ শতাংশ হাসপাতাল এখন বন্ধ আছে। বাকি হাসপাতালগুলোতে আংশিকভাবে কাজ চলছে। যার মানে হলো, হাসপাতালগুলো খোলা আছে ঠিকই, কিন্তু তারা দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং জটিল আঘাতের কোনো চিকিৎসা দিতে পারছে না। ইসরায়েল শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, হামাস হাসপাতাল এবং এর আশপাশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা না থাকায় ব্যাপক সমালোচনা করেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে অন্তত ১ হাজার ৬০ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন।

গাজার ছয়টি পাবলিক কমিউনিটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একমাত্র ইনপেশেন্ট সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালও এখন আর চালু নেই বলে সেভ দ্য চিলড্রেন বিবিসি ভেরিফাইকে জানিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ লাখ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজন, যা মোকাবিলা করা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। অনেক বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা এখন দক্ষ কর্মী এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়া চলছে। এ পরিস্থিতিতে গাজায় বেঁচে থাকা আহতদের চিকিৎসাসেবা জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ