:নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, যার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি সব সময় বলতেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’।

আমরা এমন এক নেতার উত্তরসূরী, যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।”

‎নারায়ণগঞ্জ সদর থানা অন্তর্গত ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। ‎রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল চারটায় শহরের থানা পুকুর পাড় এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

‎তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন। আজ সেই বিএনপি দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আমাদের জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে এবং তাদের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়াতে হবে।”

‎এড.

সাখাওয়াত আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই দেশে সুশাসন, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও প্রকৃত নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যদি ভালোবেসে বিএনপিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে, তাহলে ইনশাল্লাহ আমরা সেই ৩১ দফার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাব।”

‎মহানগর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিটনের সঞ্চালনায় ও দপ্তর সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জেটির তত্বাবধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক,মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না।

‎এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফয়েজ উল্লাহ সজল, জুনায়েদ আলম ঝলক, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলী, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস রহমান সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার রায়হান খান।

 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দিতে আইনি বাধা নেই: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুক, কোন আইনের ভিত্তিতে শাপলা প্রতীক কোনো রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে এনসিপিকে বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। আইনজ্ঞ, বিশ্লেষক ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে একাধিকবার পরামর্শ করার পর আমরা নিশ্চিত হয়েছি, আইনগতভাবে এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক প্রদানে বাধা নেই।’’

রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এনসিপির জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

রাকসুতে পরাজিতদের মিলনমেলা, সম্প্রীতির ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয়

রাকসু: হল সংসদে শিবিরের আধিপত্য, ছাত্রদলের শূন্য

সারজিস আলম বলেন, ‘‘আমরা যখন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলাম, তখনই ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক মাসে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রকাশিত প্রতীকের তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করেনি। এর পেছনে নিশ্চয়ই কমিশনের নিজস্ব গাফিলতি, অবহেলা বা খামখেয়ালিপনা রয়েছে। আবার এটি কোনো প্রভাব বা চাপের ফলেও হতে পারে, যার কারণে তারা প্রয়োজনীয় সাহস দেখাতে পারেননি।”

তিনি আরও বলেন, ‘‘যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তার ন্যায্য প্রতীক দিতে সাহস পায় না, সেই কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তবুও আমরা আশাবাদী, আমরা ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়েই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। যদি আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়, আমরা সেই অন্যায়ের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।”

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, ‘‘অভ্যুত্থানের আগে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই রাস্তায় নেমে কর্মসূচি দিত, কিন্তু জনগণ সাড়া দিত না। অথচ যখন জনগণ নিজেরাই রাস্তায় নেমেছে, তখনই পরিবর্তনের ধারা শুরু হয়েছে। এখন যদি জনগণের সেই প্রত্যাশার প্রতিদান কেউ না দেয়, ভবিষ্যতে নাগরিকরা তার যথাযথ প্রতিফলন দেখাবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল করিম সোয়েব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও হেড অব হেলথ উইং নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য ডা. আব্দুল আহাদ প্রমুখ।

সভায় দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, ‘‘নাগরিকদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এনসিপি শাপলা প্রতীকের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করবে।’’ 

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচন কমিশনকে ‘গনিমতের মাল’ হিসেবে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • পিআর নিয়ে জামায়াতের আন্দোলন রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়: নাহিদ
  • এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দিতে আইনি বাধা নেই: সারজিস
  • প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে বিএনপিতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল
  • সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোন প্রশ্রয় দিব না, মাদককে নির্মূল করতে চাই : সাখাওয়াত
  • তালেবান শাসকদের অবশ্যই ভারত–সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করতে হবে: পাকিস্তানি সেনাপ্রধান
  • ধানের শীষে ভোট দিতে জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে : ভিপি রাজিব
  • জুলাই সনদের ভূত–ভবিষ্যৎ
  • ওসমানী উদ্যানে আবার স্থাপনার পেছনে লক্ষ্য ‘টাকা কামানো’: বাপা