যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলা ‘নো কিংস’ প্রতিবাদে সমর্থন জানাচ্ছেন হলিউডের বড় তারকারা। দেশটির ৫০টি রাজ্যে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। প্রধানত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধেই এ প্রতিবাদ। প্রতিবাদীরা মূলত মার্কিন অভিবাসন ও শুল্কবিষয়ক দপ্তরের (আইসিই) বিরুদ্ধে সোচ্চার। আইসিইর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত কয়েক মাসে তাদের অভিযানে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেক মানুষ।

সুপারহিরো অভিনেতা মার্ক রাফালো তাঁর থ্রেডস অ্যাকাউন্টে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘মিনিয়াপোলিস, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতিবাদকারীরা অংশ নিচ্ছে। অসাধারণ! অনেকেই দেশকে ভালোবাসে আর এখানে কোনো “রাজা” চায় না।’

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেধাবীদের দেশে রাখতে স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

স্টার্টআপ খাতে মূলধন বিনিয়োগে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা কম। অতীতে তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রেও সঠিক তদারকি ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংক নিয়ে গঠিত নতুন ভেঞ্চার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারি আমলা নয়, স্টার্টআপ তহবিল বোঝে এমন মানুষ প্রয়োজন। এ ছাড়া দেশে–বিদেশে থাকা মেধাবী শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ও বিদেশযাত্রা কমাতে এই খাতে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ রোববার ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। আলোচনা সভার আয়োজন করে দেশীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান বিডি ভেঞ্চার লিমিটেড। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডি ভেঞ্চারের এমডি শফিক উল আযম। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স ও বিডি ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান মামুন রশীদ। এ সময় আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্সের পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা, চালডালের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিমসহ বিডি ভেঞ্চারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে স্টার্টআপ নীতিমালা সংশোধন করেছে। উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংকগুলোকে পুনঃ অর্থায়ন দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারবে। আমরা এমন কিছু করতে চাই না, যাতে বদনাম হয়। স্টার্টআপ খাত নিয়ে আমাদের সামনে সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি কাজে লাগাতে চাই।’

আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো স্টার্টআপ অর্থায়নে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে। যারা প্রথাগত ব্যাংক ঋণের শর্ত পূরণ করতে পারে না, তাদের জন্য এই তহবিল একটি বিশাল সুযোগ। জাতিকে কেবল সঞ্চয়পত্রের মতো কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের মতো উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে হবে। এর ফলে দেশে একটি শক্তিশালী ও গতিশীল মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিডি ভেঞ্চারের চেয়ারম্যান মামুন রশীদ বলেন, ‘স্টার্টআপ খাতে ভারত একটি বড় উদাহরণ। তাদের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেম বিশ্বজুড়ে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বেসরকারি মূলধন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পরিচিত। তবে আমরা এখনো এই খাতে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি।’

এবিবির চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগে ব্যাংকারদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই। আমাদের ব্যাংকাররা সাধারণত লাভ-লোকসান হিসাব (প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট) বোঝেন, কিন্তু ভেঞ্চার তহবিল বা মূলধন ব্যবস্থাপনা বোঝেন না। এখন সময় এসেছে মূলধন অর্থায়ন শুরু করার। মূলধন না আসলে অর্থনীতি টেকসই হবে না। ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি মূলধনের উৎস, দীর্ঘমেয়াদি নয়। ব্যাংকের টাকা দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করা যায় না।’

আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন বিডি ভেঞ্চারের সাবেক চেয়ারম্যান নূর এ আলম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, বিডিজবস ডট কমের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরসহ বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ