Samakal:
2025-11-03@03:30:46 GMT

আনন্দের হল ফিস্ট

Published: 19th, January 2025 GMT

আনন্দের হল ফিস্ট

ক্লাস-পরীক্ষার হাজারো ব্যস্ততা, একঘেয়েমি, একাকিত্ব থেকে প্রাণবন্ত করে ফেলার এক অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে হল ফিস্টের। সম্প্রতি  হৈহুল্লোড় আর আনন্দের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঐতিহ্যবাহী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের ‘হল ফিস্ট’ দিয়ে শেষ করেছেন  ২০২৪ সাল।
এবারের ফিস্টের নাম ছিল ‘The Royal Unveiling’ এবং থিম হিসেবে ছিল একটি মমি, যা সামনের হুমকিময় জীবনের একটি প্রতীকী। ফিস্ট মানেই আনন্দ, হাসি, ঘোরাঘুরি, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে বন্ধন আরও মজবুত করা।  
‘Unity in diversity, strength in harmony’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিদায়ী বছরের শেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ইউনিক শোডাউন দিয়ে শুরু হয় সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বারা আয়োজিত ফিস্টটি। শোডাউনটির থিম ছিল জুলাই বিপ্লব। সবাই একই ধরনের টি-শার্ট পরে পায়ে পায়ে তাল মিলিয়ে জুলাইয়ের চেতনাকে মনে গেঁথে নেন আরেকবার। ফিস্টের আনুষ্ঠানিক শুরুর বহু আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর প্রস্তুতি পর্ব। প্রথম বর্ষের সব শিক্ষার্থী বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যান।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.

মো. বজলুর রহমান মোল্যা, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম ছাত্রদের সঙ্গে কেক কাটার মাধ্যমে ফিস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। জুনিয়রদের সঙ্গে সিনিয়ররাও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফিস্টে যোগ দেন। রাতে  নাচ-গানের আসর মাতিয়ে রাখে সবাইকে।
ফিস্টটি যেন সবদিক থেকেই সবাইকে আকর্ষণ করেছে। হলের আলোকসজ্জা নজরকাড়ে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকার সবাইকেই। লোকমুখে সব থেকে সেরা আলোকসজ্জার শিরোপা পায় হলটি। ফিস্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকালটি শুরু হয় সিনিয়র-জুনিয়র এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে। আরেকদল সকাল থেকেই ব্যস্ত হয়ে যায় বিকেলের ফ্ল্যাশ মবের অনুশীলনে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন-সংলগ্ন হেলিপ্যাডে ফ্ল্যাশ মবে পারফরম্যান্স করে প্রথম বর্ষের একদল শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা-পরবর্তী আবার নাচের আসর বসানো হয় কেআর মার্কেটে। পরে রাতে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ডিনার। এ ডিনারে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের সিনিয়রদেরও আমন্ত্রণ করেন। 
শনিবার ছিল হল ফিস্টের শেষ দিন। দিনটির শুরু হয় রং খেলার মাধ্যমে। সবাই মেতে ওঠেন একই আমেজে। বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন ছিল ওইদিন বিকেলে। রাতে অনুষ্ঠিত হয় কালচারাল নাইট। সংগীত, নাচ, কৌতুক আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হলের তিন দিনের জমকালো এই ফিস্ট। ফিস্ট সম্পর্কে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিজান অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা অনেক ভালো একটা ফিস্ট করতে পেরেছি। জাঁকজমক ছিল সবকিছু। ভার্সিটি ছেড়ে গেলে এটাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়বে।’ v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হল ফ স ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্প কী ভাবছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার বলেছেন, তিনি আপাতত এমন কোনো চুক্তির কথা ভাবছেন না, যা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে সহায়তা করবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির মার্কিন পরিকল্পনা নিয়েও ট্রাম্প অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, এসব দেশ পরে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনকে দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ভাষ্য হলো, তিনি যুদ্ধকে আরও তীব্র করতে চান না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্পের সবশেষ এ মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, ইউক্রেনকে টমাহক দিতে তিনি এখনো অনিচ্ছুক।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার পাম বিচ থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি কি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করছেন?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘না, আসলে তা নয়।’ তবে তিনি যোগ করেন, ভবিষ্যতে নিজের মত বদলাতে পারেন।

গত ২২ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুত্তে। বৈঠকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ধারণা নিয়ে আলোচনা হয়।

গত শুক্রবার মার্ক রুত্তে বলেন, বিষয়টি এখনো পর্যালোচনার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটনের কাছে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন। তবে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনকে টমাহক দেওয়া হলে পরিণতি ভালো হবে না।

আরও পড়ুনটমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না২০ ঘণ্টা আগে

দ্য গার্ডিয়ান ও সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টমাহক যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয়।

ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে টমাহক। নিচু উচ্চতায় ওড়ে বলে টমাহক রাডারে ধরা পড়ে না। এতে আছে উন্নত জিপিএস ও নেভিগেশন ব্যবস্থা।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ