তিন পার্বত্য জেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী খেলোয়াড়দের জন্য রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী সোশ্যাল রেসপন্সসেবিলিটি প্রোগ্রাম।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে এই প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা এই জেলার তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তারুণ্যের যে শক্তি সেটিকে আমরা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। তরুণদের হাত ধরেই দেশ বদলাবে, পৃথিবী বদলাবে। তবে, সবার আগে নিজেদের বদলাতে হবে। নিজেকে বদলানোর প্রথম সোপান হল শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলার আঁতুড়ঘর হল খেলাধুলা। এই খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণরা নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।”

আরো পড়ুন:

নৈতিক শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ হবে: আরএমপি কমিশনার

টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেট উপ-কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আবু সাদাত মো.

সায়েম, রাঙামাটি জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি বরুণ বিকাশ দেওয়ান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুল বাসেত অপু, সহ-সভাপতি ভূপেষ রায়, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) সোশ্যাল রেসপন্সসেবিলিটি প্রোগ্রামের প্রধান নেইল স্টা মারিয়া।

প্রসঙ্গত, এএফসি ড্রিম এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় তিন পার্বত্য জেলার সুবিধাবঞ্চিত পাহাড়ি নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘এমপাওয়ারিং হিল উইমেন্স টু পারসিউ ফুটবল ক্যারিয়ার’ শীর্ষক এই সোশ্যাল রেসপন্সসিবিলিটি প্রোগ্রাম। এর আওতায় ৪৫ জন নারী খেলোয়াড় ও তিনজন কোচের চার দিনব্যাপী আবাসিক ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের চাইল্ড সেইফগার্ডিং, ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

প্রোগ্রাম থেকে বাছাই করা ১২ জন খেলোয়াড়কে আগামী এক বছরের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ