শৃঙ্খলার আঁতুড়ঘর হল খেলাধুলা: রাঙামাটির ডিসি
Published: 23rd, January 2025 GMT
তিন পার্বত্য জেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী খেলোয়াড়দের জন্য রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী সোশ্যাল রেসপন্সসেবিলিটি প্রোগ্রাম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাঙামাটি চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে এই প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, “বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে আমরা এই জেলার তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করছি। তারুণ্যের যে শক্তি সেটিকে আমরা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। তরুণদের হাত ধরেই দেশ বদলাবে, পৃথিবী বদলাবে। তবে, সবার আগে নিজেদের বদলাতে হবে। নিজেকে বদলানোর প্রথম সোপান হল শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলার আঁতুড়ঘর হল খেলাধুলা। এই খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণরা নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও প্রতিযোগিতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।”
আরো পড়ুন:
নৈতিক শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ হবে: আরএমপি কমিশনার
টিসিজেএ ইনডোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেট উপ-কমিটির সাবেক আহ্বায়ক আবু সাদাত মো.
প্রসঙ্গত, এএফসি ড্রিম এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় তিন পার্বত্য জেলার সুবিধাবঞ্চিত পাহাড়ি নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘এমপাওয়ারিং হিল উইমেন্স টু পারসিউ ফুটবল ক্যারিয়ার’ শীর্ষক এই সোশ্যাল রেসপন্সসিবিলিটি প্রোগ্রাম। এর আওতায় ৪৫ জন নারী খেলোয়াড় ও তিনজন কোচের চার দিনব্যাপী আবাসিক ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের চাইল্ড সেইফগার্ডিং, ফুটবল প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রোগ্রাম থেকে বাছাই করা ১২ জন খেলোয়াড়কে আগামী এক বছরের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হবে।
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুনিয়র এএফসি বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর দুই প্রতিপক্ষ লাওস ও তিমুরলেস্তে। সোমবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) সদর দপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এই ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী বছরের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূধর্ব-২০ নারী ফুটবলের মূল পর্ব শুরু হবে। স্বাগতিক থাইল্যান্ডসহ মূল পর্বে অংশ নেবে ১২ দল। ৩৩ দল ২ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাছাই পর্ব খেলবে। তাদের ৮ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ওই আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা তিন রানার্স-আপ মূল পর্বের টিকিট পাবে।
বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। যাদের জুনিয়র এএফসি কাপ জয়ের কীর্তি রয়েছে। বাছাইপর্ব পেরিয়ে তারা মূল পর্বে যাওয়ার দাবিদার। বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নাও পারে লাওস ও তিমুরলেস্তেকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে রানার্স-আপ হয়ে মূল পর্বে যেতে পারবে।