লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের জেরে দু-বার পিছিয়েছিল অস্কারের মনোনয়ন ঘোষণার দিনক্ষণ। অবশেষে আজ শুক্রবার ২৩শে জানুয়ারি অস্কারের ৯৭তম এডিশনের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ্যে আনল অস্কার কমিটি। আমেরিকান অভিনেত্রী র‌্যাচেল সেনোট ও চীনা বংশোদ্ভূত আমেরিকান কমেডিয়ান বোয়েন ইয়াং ঘোষণা করেন মনোনীতদের নাম।

এবার সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন পেয়েছে নেটফ্লিক্সের ক্রাইম মিউজিক্যাল সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজ’। ১৩ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে সিনেমাটি। এই প্রথম ইংরেজি ভাষার বাইরের কোনো সিনেমা ১৩টি মনোনয়ন পেল। ১০টি করে মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ও ‘উইকড’।

অস্কারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে মনোনয়ন পেলেন যাঁরা—

সেরা সিনেমা

‘আনোরা’, ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’, ‘আ কমপ্লিট আননোন’, ‘কনক্লেভ’, ‘ডুন: ​​পার্ট টু’, ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘আই এম স্টিল হিয়ার’, ‘নিকেল বয়েজ’, ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’, ‘উইকড’

পরিচালক

শেন বেকার (আনোরা)

ব্র্যাডি করবেট (দ্য ব্রুটালিস্ট)

জেমস ম্যানগোল্ড (আ কমপ্লিট আননোন)

জ্যাক অঁদিয়ার (এমিলিয়া পেরেজ)

কোরালি ফার্গেট (দ্য সাবস্ট্যান্স)

সেরা অভিনেতা

অ্যাড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট)

টিমোথি শ্যালামেট (আ কমপ্লিট আননোন)

কোলম্যান ডোমিঙ্গো (সিং সিং)

রেফ ফাইঞ্জ (কনক্লেভ)

সেবাস্টিয়ান স্ট্যান (দ্য অ্যাপ্রেন্টিস)

সেরা অভিনেত্রী

সিনথিয়া এরিভো (উইকড)

কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন (এমিলিয়া পেরেজ)

মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা)

ডেমি মুর (দ্য সাবস্ট্যান্স)

ফার্নান্ডা টরেস (আই এম স্টিল হিয়ার)

আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম

আই এম স্টিল হিয়ার (ব্রাজিল)

দ্য গার্ল উইদ দ্য নিডল (ডেনমার্ক)

দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (জার্মানি)

ফ্লো (লাটভিয়া)

অ্যানিমেটেড সিনেমা

ফ্লো

ইনসাইড আউট টু

মেমোয়ার অব আ স্নেইল

ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট

দ্য ওয়াইল্ড রোবোট

এ ছাড়া পার্শ্ব অভিনেতা, পার্শ্ব অভিনেত্রী, স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেটেড সিনেমা, পোশাক পরিকল্পনা, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, মৌলিক আবহসংগীত, শব্দ, অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য, মৌলিক চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রাহক, প্রামাণ্যচিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র, সম্পাদনা, রূপসজ্জা ও চুলসজ্জা, মৌলিক গান, শিল্প নির্দেশনা এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস শাখার মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ