‘বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে’
Published: 26th, January 2025 GMT
‘ক্লিন এনার্জি: টেকসই ভবিষ্যৎ’ এই শ্লোগানে ফরিদপুর মানব বন্ধন হয়েছে। সেখানে বক্তারা বলেন, বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে।
ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার বেলা ১১টার দিকে সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বানে ইয়্যুথ এনগেজ অ্যান্ড সাপোর্ট গ্রুপ (ইয়েস) অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপের (এসিজি) সদস্যসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির শতাধিক মানুষ ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।
শুরুতেই আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সহসভাপতি পান্না বালা। তিনি বলেন, ক্লিন এনার্জি ব্যবহার ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমাদেরকে বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
সেখানে টিআইবির ধারণাপত্র পাঠ করেন সনাক সদস্য মাহবুবুর রহমান। এতে বলা হয়, ক্লিন এনার্জি হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটি আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা টেকসই ভবিষ্যতের পথে উত্তরণে অন্যতম অনুঘটক। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ এবং ভূতাপীয় শক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত জ্বালানি আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন সনাক সদস্য রাসেল মিয়া ও মো.
অনুষ্ঠানের সভাপতি সনাক সভাপতি শিপ্রা রায় বলেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে, তাপমাত্রা হ্রাস, খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধে সরকারকে জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। পলিথিনসহ শিল্পবর্জ্য নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বপরি, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম মোস্তফা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জলব দ য ৎ জলব দ য ৎ ব যবহ র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।