দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বহিষ্কৃত অভিবাসীদের ফেরত না নেওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশটির সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কও আরোপ করেছেন তিনি।

সোমবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

শুল্ক আরোপের এই সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। 

বিবিসি বলছে, নির্বাসিত অভিবাসীদের বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক বিমানকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশে অবতরণে বাধা দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া “সমস্ত পণ্যের ওপর” এই শুল্ক “অবিলম্বে” আরোপ করা হবে এবং ২৫ শতাংশ শুল্ক এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। জবাবে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা ২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

কলম্বিয়া ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৭৫টি অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করেছে। ফ্লাইট পরিসংখ্যান সংগ্রহকারী সংস্থা উইটনেস অ্যাট দ্য বর্ডার-এর তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যা তালিকায় কলম্বিয়া পঞ্চম, তাদের আগে রয়েছে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো এবং এল সালভাদর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলম ব য় কলম ব য় কলম ব য র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাজ্যে চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী ফ্লাইটটি শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ড. ইউনূস গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তিনি সফরকালে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।

এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

চার দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমেন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা