চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি ঘর থেকে তরুণ ও গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জার ভয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা পুলিশের। নিহত গৃহবধূর দু’টি সন্তান রয়েছে। তাদের একই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার খয়রাবাদ গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শান মোহাম্মদ সনুর বাড়ি থেকে শনিবার রাতে পুলিশ মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে। এর মধ্যে একজন তাঁর স্ত্রী টুসি বেগম (২৪)। অপরজন শিবগঞ্জ উপজেলার দায়পুখুরিয়া ইউনিয়নের আড়গাড়াহাট গ্রামের আব্দুর রাকিব (২৮)।

গোমস্তাপুর থানার ওসি খাইরুল বাশার জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে শান মোহাম্মদ সনুর শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে টুসি ও রাকিবের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি দু’টি দড়িতে তারা ঝুলছিলেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হওয়ায় গৃহবধূ ও তরুণ সম্মানের ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যে ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে টুসির দুই শিশু সন্তানকে ঘুমন্ত এবং অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়।

গৃহবধূর শ্বশুর হায়াত আলীর ভাষ্য, তাঁর ছেলে প্রায় দু’বছর আগে মালয়েশিয়া যান। এরপর একদফা সন্তানদের রেখে পালিয়েছিলেন তাঁর পুত্রবধূ। এরপর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে শনিবার রাতে তাঁর ঘর থেকে শব্দ পেয়ে বের হয়ে দরজায় ধাক্কা দেয়ার পরও দরজা খোলেননি।

একপর্যায়ে জানালা দিয়ে তারা পুত্রবধূর সঙ্গে ঘরে ছেলেটিকে দেখতে পান জানিয়ে হায়াত আলী বলেন, তাদের চিৎকারে লোকজন জমায়েত হন। এ সময় দরজা ভেঙে উদ্ধারের আগেই তারা ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ গ হবধ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা