কয়রায় সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণকালে ৪ আওয়ামী লীগ কর্মী আটক
Published: 5th, February 2025 GMT
খুলনার কয়রায় সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণের অভিযোগে চারজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোড়ল এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মহিদুল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক ব্যক্তিরা স্থানীয় বাজারে সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিফলেটসহ চারজনকে আটক করে।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ল ফল ট আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সামাজিক নিরাপত্তা ও বৃত্তির অর্থ যাবে পছন্দের হিসাবে
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্য কার্যক্রমের নগদ অর্থ উপকারভোগীরা নিজেদের পছন্দের ব্যাংক বা এমএফএস হিসাবে নিতে পারবেন। বিতরণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ভাতা বিতরণে কোনো ব্যাংক বা মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে দিতে পারবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সম্প্রতি সরকারের এ সিদ্ধান্ত পরিপত্র আকারে জারি করেছে। সরকারের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে উপকারভোগীরা তাদের পছন্দমতো হিসাবে সরকারি ভাতার টাকা নিতে পারবেন। এ ছাড়া এমএফএস এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জ শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্যাশ আউট চার্জ সরকার পরিশোধ করবে। আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি ভাতা বিতরণের নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে। জানা গেছে, বর্তমানে চার্জ রয়েছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, সরকার থেকে ব্যক্তি (জি-টু-পি) পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার পাশাপাশি শিক্ষা উপবৃত্তি এবং অন্যান্য নগদ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। আগামী অর্থবছর থেকে উপকারভোগীরা এ ধরনের অর্থ তাদের পছন্দের অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেন। ভাতাভোগীদের নতুন করে কোনো হিসাব খুলতে হবে না।
২০২১ সালে এমএফএস প্রতিষ্ঠান নগদকে ৭৫ শতাংশ ভাতা বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নগদ দায়িত্ব পায় ৪০টি জেলার। বাকি ২৪টি জেলায় অন্যান্য এমএফএস ও ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া হয়।
অর্থ বিভাগের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভাতা বিতরণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর বা সংস্থা এখন থেকে তাদের পছন্দমতো কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। ফলে সারাদেশের যে কোনো জায়গার ভাতাভোগীরা তাদের নিজেদের পছন্দের হিসাবে ভাতার টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ ক্যাশ আউট চার্জসহ একসঙ্গে পাঠাতে হবে। নগদ বিতরণের ক্ষেত্রে এমএফএস বা ব্যাংক উপকারভোগীর ওপর কোনো ধরনের চার্জ আরোপ করতে পারবে না। ইফটি রিটার্নের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট চার্জসহ সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ইএফটির রিয়েল টাইম ট্র্যাকিংয়ের জন্য অর্থ বিভাগের সিঙ্গেল রেজিস্ট্রি সিস্টেমে প্রতিটি এমএফএস এবং ব্যাংক সংযোগ স্থাপন আগামী ২৯ মে’র মধ্যে শেষ করতে হবে।