সরকারি হাটের জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কফিল উদ্দিন নামের এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। একই এলাকায় হাটের আরেকটি সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন মফিজ উদ্দিন। তিনিও বিএনপির কর্মী বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল বাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন দখল চললেও কেউ কিছুই বলার সাহস পাচ্ছেন না। 

অভিযুক্ত কফিল উদ্দিন চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি।

আরো পড়ুন:

ফেসবুকে পোস্ট
বুলডোজার দিয়ে আ.

লীগে নেতাদের বাড়ি ভাঙার হুমকি

আ.লীগ নেতাদের সম্পত্তিতে হামলা না চালানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

চড়ইকোল বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল বাজারে সরকারি হাটের জায়গা দখল করেন। কিছুদিন হলো তিনি সেখানে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। তার দেখাদেখি, একই বাজারে বিএনপি কর্মী মফিজ উদ্দিনও হাটের জায়গা দখল করে আরেকটি ঘর নির্মাণ করছেন।” 

আমজাদ হোসেন নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “প্রকাশ্যে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে।”

সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন বলেন, “বাজারে আমার বসার মতো কোন জায়গা নেই। তাই বাজারের এই জায়গাটিতে একটি ঘর নির্মাণ করছি। আমি বিএনপির অনেক নির্যাতিত একজন কর্মী। আমি অনেকবার জেল জুলুম সহ্য করেছি। যদি আপনারা নিউজ করেন তাহলে আমার ওই জায়গা ফাঁকা করে দিতে হবে।” 

জায়গাটি সরকারিভাবে লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন বলেও জানান কাফিল উদ্দিন।

অপর অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। কোনো অবস্থাতেই আমরা দখলদারিত্বে বিশ্বাস করি না।”

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য কে এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “আমি কিছুই জানি না। বর্তমানে আমি দলীয় কোনো পদে নেই। সুতরাং, তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আমি কেউ না।”

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমি আপনার কাছে থেকেই শুনলাম। যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, অবশ্যই ওই জায়গা দখলমুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে দখলকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ঘর ন র ম ণ ক ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ