ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 11th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ পরিচালিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ/ইনস্টিটিউটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তিতে আবেদন চলছে। প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন শেষ হবে আগামীকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি)। আবেদন ফি ৮৫০ টাকা।
যেসব প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
আরও পড়ুনস্নাতকে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার, মিলবে ১০০০০ টাকা ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫কলেজ/ইনস্টিটিউটগুলো হলো
১.
২. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর (সরকারি)
৩. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল (সরকারি)
৪. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার), সাভার, ঢাকা (বেসরকারি)
৫. শ্যামলী, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঢাকা
৬. কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ (বেসরকারি)
৭. সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা (বেসরকারি)
আবেদনের যোগ্যতা
২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং ২০২৪ সালে শিক্ষা বোর্ডের/বাউবির বিজ্ঞান/কৃষিবিজ্ঞান শাখায় উচ্চমাধ্যমিক অথবা মাদ্রাসা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখায় আলিম অথবা বিজ্ঞান শাখায় বা সমমানের বিদেশি ডিগ্রিধারী হতে হবে। প্রার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক গ্রেডভিত্তিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ-৩-সহ প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫০ হতে হবে। তবে প্রার্থীর উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয় থাকতে হবে। সমতা নিরূপণের পর প্রাপ্ত এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান রোল নম্বর ব্যবহার করে সাধারণ আবেদনকারীদের মতো তারা একই ওয়েবসাইটে লগইন করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া দিচ্ছে ‘ভাইস চ্যান্সেলর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ’, টিউশন ফির ৫০ শতাংশসহ নানা সুযোগ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গুরুত্বপূর্ণ তথ্য—
আবেদন শুরু: ৬ জানুয়ারি থেকে
আবেদন শেষ কবে: ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত
আবেদন ফি জমা শেষ কবে: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষা—
২৬ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকায়।
ভর্তি পরীক্ষা নম্বরপদ্ধতি—
ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১২০টি প্রশ্নে ১২০ নম্বরে পরীক্ষায় পদার্থে ৩৫, রসায়নে ৩৫, গণিতে ৩৫ ও ইংরেজিতে ১৫ নম্বর থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ নিয়মাবলি ও নির্দেশিকা লিংক-এ পাওয়া যাবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নভেম্বরে বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা ক্ষতির
বাড়ির সামনে ১৫ শতক জমিতে সবজি আবাদ করেছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়রা গ্রামের কৃষক শাম্মত আলী (৬০)। পালংশাক, মুলা, ডাঁটা ও মরিচের বীজ বুনেছেন তিনি। মরিচের বীজ বোনার দুই দিন পর বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে বীজ পচে গেছে। নভেম্বরে অসময়ের বৃষ্টিতে তিনি ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ইতিমধ্যে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটতে শুরু করেন কৃষকেরা। এ ছাড়া শীত মৌসুমকে সামনে রেখে কৃষকেরা সবজি চাষ শুরু করেছেন। ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলগুলোতে বিপুল পরিমাণ সবজির আবাদ হয়। তবে নভেম্বরের শুরুতে টানা বৃষ্টি এসব ফসলের ওপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর প্রভাব বাজারেও পড়তে পারে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার শর্ষে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে শর্ষে আবাদ করা যাচ্ছে না। ২১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বাঁধাকপি, ফুলকপি, করলা, চিচিঙ্গা, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়ার কিছুটা সমস্যা হতে পারে। বৃষ্টি দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।
নভেম্বরের বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা ক্ষতির জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. পারভেজ আনোয়ার বলেন, নিম্নচাপের কারণে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। নভেম্বরে এমন বৃষ্টি অপ্রত্যাশিত। ইতিমধ্যে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকেরা ধান শুকাতে সমস্যায় পড়বেন। যাঁরা কাটতে পারেননি, তাঁদের জমিতে পানি ওঠায় ধানের অপচয় বেশি হবে। রবি ফসলের ক্ষেত্রে ভুট্টা, ডাল-জাতীয় শস্য ও শর্ষে লাগানো দেরি হয়ে যাবে। ফসল লাগাতে দেরি হলে পরে বোরো ফসল লাগাতেও দেরি হয়ে যাবে।
অধ্যাপক পারভেজ আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, শীতকালীন সবজি যাঁরা দেরিতে লাগাচ্ছেন, তাঁদের চারা নষ্ট হয়ে যাবে। আগাম যাঁরা আবাদ করেছেন, অতিবৃষ্টির কারণে পচে যাবে এবং রোগবালাই ও পোকার আক্রমণও বাড়বে। সব মিলিয়ে ধান, রবি শস্য ও শীতকালীন সবজি—সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে অসময়ের বৃষ্টির কারণে।
কৃষক শাম্মত আলী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মরিচ বুনছিলাম। বৃষ্টিতে সব পইচ্চা গেছে। আমার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। সব গাইব হয়ে গেছে। আষাঢ় মাসেও এমন বৃষ্টি হয় না, যে বৃষ্টি হইছে। এমন বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছিন না। এমন সময়ে ছিডাছাডা বৃষ্টি হইলেও এমন বৃষ্টি আর কখনো হয় নাই।’
গতকাল শনিবার রাত আড়াইটা থেকে রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ময়মনসিংহ আবহাওয়া কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টা ২৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ময়মনসিংহ শহরের দীঘারকান্দা এলাকার লাল মিয়া বলেন, ‘২ কাডা জমিতে শাকসবজি করছিলাম। বৃষ্টিতে সব ক্ষতি হইয়া গেছে। এমন টাইমে তো বৃষ্টি হয় না।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নভেম্বর মাসের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় সবজি লাগানো কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। শর্ষে আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, বৃষ্টির কারণে লাগাতে দেরি হলে অর্জন কিছুটা কম হবে। এখন শর্ষে আবাদের ভালো সময়। এ সময় শর্ষের বীজ বুনতে না পারলে আবাদ কমে যাবে। বৃষ্টি কয়েক দিনের মধ্যে থেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না।