জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র লিখেছেন উপন্যাস ‘আজাদি’। এটি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে লেখা। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশন। বইমেলার ২৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে উপন্যাসটি।

সালাহ উদ্দিন শুভ্র উপন্যাসটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানকে সামগ্রিকভাবে ধরার চেষ্টা হয়েছে উপন্যাসে। শহীদ পরিবার, বন্ধু, প্রত্যক্ষদর্শী এবং আমার নিজের অভিজ্ঞতা উপন্যাসে বিবৃত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থা, অভ্যুত্থান চলাকালে ব্যক্তি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সংকটকেও তুলে আনা হয়েছে। কোনো একক পক্ষ নয়, সামগ্রিকভাবে সবার অংশগ্রহণে যে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে তার প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে উপন্যাসটি।’’

এটি সালাহ উদ্দিন শুভ্র’র ষষ্ঠ উপন্যাস। এ বছরের বইমেলায় ঐতিহ্য থেকে তার ১৫টি গল্প নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া পাইওনিয়র থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ছোটদের অ্যাডভেঞ্চার বই ‘গণভবনের ভূত’।

আরো পড়ুন:

বইমেলায় এম দিলদার উদ্দিনের ‘গল্পগুচ্ছ’ (১ম খণ্ড)

তসলিমা নাসরীনের বই নিয়ে বইমেলায় হট্টগোল

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল য় উপন য স

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ