নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির সকল ইউনিট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন করে কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্র। নির্দেশনায় ৭ দিনের মধ্যে ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ৩১ সদস্যে উন্নতি করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সম্মেলন করাও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ্য করেন, ক) নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে জেলা বিএনপি'র আহবায়ক মামুন মাহমুদ, ১নং যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূঁইয়া এবং যুগগ্ম আহবায়ক মাশেকুল ইসলাম রাজীব এর যৌথ স্বাক্ষর থাকতে হবে।

খ) নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটিকে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে উন্নীত করে একটি লিখিত তালিকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে হবে।

গ) আগামী ৯০ দিনের মধ্যে জেলাধীন সকল স্তরের ইউনিট সমূহে সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করে জেলা বিএনপি'র সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করতে হবে। চিঠিতে জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের কোন সাইনিং পাওয়ার রাখা হয়নি। যদিও তিনি আহবায়ক কমিটির ৫ নাম্বার সদস্য।

এ বিষয়ে মামুন মাহমুদ বলেন, কেন্দ্র থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি পেয়েছি।

চিঠিতে ৩১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই কমিটি করে কেন্দ্রে জমা দেবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরো জানান, ৩১ সদস্যের কমিটি করার পর বৈঠক ডেকে জেলার বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলি কিভাবে করা যায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।

আমি আশা করছি এবার এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দল সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেবে ইনশাআল্লাহ। কারণ এসব কমিটি আসন্ন নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করবে।

প্রসঙ্গত: গত ২ জানুয়ারি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে।

কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকে। যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, শরীফ আহমেদ টুটুল এবং সদস্য রাখা হয়েছে মো: গিয়াস উদ্দিনকে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ব এনপ র স কম ট র স সদস য র র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন