সাবিনাদের চাপে রাখতেই কি বাকিদের সঙ্গে চুক্তি বাফুফের
Published: 11th, February 2025 GMT
কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন না বলে ১৮ জন নারী ফুটবলার ঘোষণা দিয়েছিলেন ৩০ জানুয়ারি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্রোহীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। অনুশীলনে ফিরতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধও রাখেননি তাঁরা। এ অবস্থায় বাফুফে তাদের পথ বেছে নিয়েছে। বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে ক্যাম্পে থাকা খেলােয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ১৮ বিদ্রোহীসহ ক্যাম্পে আছেন ৫৫ জন। এই ১৮ জনসহ আরও ১ জনকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬ জনের সঙ্গে সোমবার চুক্তি করেছে দেশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আরও পড়ুনমেয়েদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, ছাড় পাননি কোচ বাটলারও০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফে কিছু বলছে না। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের নামও তারা প্রকাশ করছে না। তবে ভেতরে–ভেতরে নিজেদের কাজটা এগিয়ে নিচ্ছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাফুফে ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা মেয়েদের ক্যাম্প থেকে একজন একজন করে ডেকে দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষে এনে চুক্তিপত্রে তাঁদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
প্রথমে চুক্তি করা হয় সাবিনাদের সঙ্গে বিদ্রোহে অংশ না নেওয়া ১২ জনের সঙ্গে। তাঁরা হলেন আফঈদা খন্দকার, কোহাতি কিসকু, মুনকি আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা, স্বপ্না রানী, ইয়ারজান বেগম, আইরিন খাতুন, অর্পিতা বিশ্বাস, সুরভী আক্তার, আকলিমা খাতুন, হালিমা আক্তার ও সুরমা জান্নাত। তাঁদের মধ্যে প্রথম সাতজন সাফজয়ী দলের।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি
কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।
টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।
অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।
ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।
সেঞ্চুরির পর মার্করাম