ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কুপিয়ে একজনকে হত্যা
Published: 11th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোশাররফ হোসেন (৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হাকিমপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত মোশাররফ ওই গ্রামের খাবির মণ্ডলের ছেলে ও বিএনপির কর্মী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরও ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন।
গ্রামবাসী জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই গ্রামের বাসিন্দা চানপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ও বিএনপির এক কর্মী দবির উদ্দিনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আজ সকালে দবির উদ্দিনের ভাই মোশাররফ হোসেন মাঠে কলা কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা হামলা করেন। সে সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও মারধরে অন্তত ৯ জন আহত হন। পরে তাঁদের মধ্যে ৭ জনকে সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মোশাররফকে মৃত ঘোষণা করেন।
দবির উদ্দিন জানান, সকালে তাঁর ভাই মাঠে কাজ করছিলেন। তখন মহিউদ্দিনের লোকজন অতর্কিত ভাইয়ের ওপর হামলা করেন। সে সময় ভাই বাঁচতে দৌড়ে বাড়ির দিকে চলে এলে সন্ত্রাসীরা বাড়ির সামনেই তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপান। ঘটনার সময় তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আরও ৭ থেকে ৮ জন আহত হন। তাঁরা মোশাররফ হোসেনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহানা শারমিন বলেন, হাসপাতালে আসা মোশাররফ হোসেন নামের একজন মারা গেছেন। আরেকজন ভর্তি আছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মহিউদ্দিন নামের একজনকে আটকে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম শ ররফ হ স ন ঝ ন ইদহ স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স