বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টপকে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে পাকিস্তান, শীর্ষে ভারতই
Published: 13th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সুখবর পেল পাকিস্তান। আইসিসি দলীয় র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বাগতিকেরা। কাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান এক ধাপ এগিয়েছে আজ হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে।
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ১১১। গতকাল শ্রীলঙ্কার কাছে হারা অস্ট্রেলিয়ারও পয়েন্ট ১১১। তবে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম ম্যাচ খেলা পাকিস্তান ভগ্নাংশের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় উঠেছে দুইয়ে। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়া খুইয়েছে ২ পয়েন্ট, অন্যদিকে এক জয়ে পাকিস্তানেরও পয়েন্ট বেড়েছে ২টি।
ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই করা ভারতই সবার ওপরে। ১১৯ রেটিং পয়েন্ট দলটির। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারানো ভারতের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ১টি। ধবলধোলাই হওয়া ইংল্যান্ডের রেটিং পয়েন্ট এক কমে হয়েছে ৯২।
ওয়ানডের এক নম্বর দল ভারত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?