আইপিএলের শুরু পিছিয়ে গেল এক দিন
Published: 14th, February 2025 GMT
শুরুতে তারিখটা ছিল ১৪ মার্চ। এরপর এক সপ্তাহ পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ২১ মার্চে। তবে সেই তারিখও বদলাল আরেক দফা। নতুন সূচিতে এখন আইপিএলের ১৮তম আসর শুরু হবে ২২ মার্চ শনিবার থেকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এ বছর আইপিএলের নতুন সূচি নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। উদ্বোধনী ম্যাচের তারিখ বদলে গেলেও ফাইনালের তারিখ অপরিবর্তিত থাকার কথাই জানিয়েছে ক্রিকবাজ। অর্থাৎ আগের সূচি অনুযায়ী ২৫ মে রোববার মাঠে গড়াবে আইপিএলের ফাইনাল।
আইপিএলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের মাঠে পরের আসরের প্রথম ম্যাচ আয়োজন সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। সেই নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে না এবারও। গতবারের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাঠ ইডেন গার্ডেনেই হবে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচ। এরপর ফাইনালও হওয়ার কথা একই ভেন্যুতে।
আরও পড়ুনআইপিএল শুরু ২১ মার্চ, উদ্বোধন ও ফাইনাল ইডেন গার্ডেনে১৩ জানুয়ারি ২০২৫উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতার মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কলকাতার মতো গতবারের রানার্সআপ সানরাইজার্স হায়দরাবাদও নিজেদের মাঠে খেলে আইপিএল শুরু করবে। ২৩ মার্চ রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস।
এবারের আসরে ম্যাচসংখ্যা বাড়ানোর কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছে আইপিএল পরিচালনা পরিষদ। গত তিন বছরের মতো এবারও ম্যাচ হবে ৭৪টি। আইপিএল–সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে (পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) আলোচনা শেষে কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।