অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস ‘উঠল্লু'।

উপন্যাস সম্পর্কে সাদিয়া সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, “উঠল্লু শব্দের আভিধানিক অর্থ যার স্থায়ী বাসস্থান নেই। এক অর্থে যাযাবর। বাংলাদেশে যুগে যুগে যাদেরকে মোহাজের, অবাঙালি, অস্থানীয়, বিহারি, উদ্বাস্তু, রিফুজি, রিফিউজি, মাউরা, উর্দুভাষী বাংলাদেশি ইত্যাদি নামে পরিচিত হতে হয়েছে তাদের প্রকৃত পরিচয় কী? তারা কি আসলেই উঠল্লু?”

“সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরতে ঘুরতে গোলাহাট ক্যাম্পের হামিদা বিবির মতো আমার মনেও এই প্রশ্ন জেগেছে। উত্তর খুঁজতে গিয়ে উপলব্ধি করেছি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ নয়। তবে উত্তর খুঁজে না পেলেও ‘উঠল্লু’ লিখতে লিখতে মনে অন্তত নতুন কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছে, আপাতত এটাই স্বস্তির। কেন? আসলে নতুন নতুন প্রশ্ন জন্ম নেওয়ার অর্থই তো নতুন করে পথে নামার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। আর পথে নামলেই নিশ্চিত রঙিন ধূলার সঙ্গে সন্ধি হবে, যেই ধূলা শরীরে মেখে আবাবিলের মতো বাহারি খোয়াব দেখার সুযোগও মিলবে।”

আরো পড়ুন:

নেতাকর্মীদের নিয়ে বইমেলায় জামায়াত আমির

বইমেলায় হট্টগোল, উপদেষ্টা ফারুকীর কড়া বার্তা

উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন সেলিম হোসেন সাজু। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যের স্টলে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ২৮)।

ঢাকা/এসবি 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম বইম ল বইম ল য় উপন য স উঠল ল

এছাড়াও পড়ুন:

খাদি কাপড়ের জিআই স্বীকৃতিতে আনন্দে ভাসছেন কুমিল্লাবাসী

কুমিল্লার ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত জেলার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সেই সুখবর। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বীকৃতির এই সনদ দেওয়া হয়।

কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের দোকান। কান্দিরপাড়ের খাদি বসুন্ধরা দোকানের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, শৈল্পিক ছোঁয়ায় কুমিল্লার খাদি এখন দেশ-বিদেশে বেশ সমাদৃত। ঐতিহ্যের খাদিতে এখন লেগেছে আধুনিকতা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া। শত বছরের বেশি পুরোনো খাদির আরও অনেক আগেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল। অবশেষে স্বীকৃতি মিলেছে, এতেই আনন্দিত সবাই।

একই এলাকার খাদি জ্যোৎস্না স্টোরের মালিক তপন পাল বলেন, ‘কুমিল্লার প্রতিটি মানুষ খাদির এমন স্বীকৃতিতে আনন্দিত। শত বছর পার হলেও এখনো দেশ-বিদেশে খাদি কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা।’

কুমিল্লার ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সমগ্র ভারতবর্ষে অসহযোগ আন্দোলনের সময় কুমিল্লায় খাদিশিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই সময় বিদেশি পণ্য বর্জন করার জন্য আওয়াজ ওঠে। সর্বত্র এক আওয়াজ ‘মোটা কাপড়-মোটা ভাত’। সে সময় ভারতবর্ষের মানুষ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে খাদি পোশাক ব্যবহার শুরু করেছিলেন। খাদের (গর্তে) চরকায় বসে এ কাপড় তৈরি করা হয় বলে এর নামকরণ হয় ‘খাদি’। শুরুতে মহাত্মা গান্ধী নিজেও কুমিল্লায় এসে খাদের চরকায় বসে খাদি কাপড় তৈরিতে উৎসাহ দেন।

এই গবেষক আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করে নিলে কুমিল্লার খাদিশিল্প সংকটে পড়ে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হাল ধরেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খান।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। যে একটি বাকি আছে, সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি পাবে বলে তিনি আশাবাদী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ