বইমেলায় সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস ‘উঠল্লু`
Published: 14th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস ‘উঠল্লু'।
উপন্যাস সম্পর্কে সাদিয়া সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, “উঠল্লু শব্দের আভিধানিক অর্থ যার স্থায়ী বাসস্থান নেই। এক অর্থে যাযাবর। বাংলাদেশে যুগে যুগে যাদেরকে মোহাজের, অবাঙালি, অস্থানীয়, বিহারি, উদ্বাস্তু, রিফুজি, রিফিউজি, মাউরা, উর্দুভাষী বাংলাদেশি ইত্যাদি নামে পরিচিত হতে হয়েছে তাদের প্রকৃত পরিচয় কী? তারা কি আসলেই উঠল্লু?”
“সৈয়দপুর শহরের বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরতে ঘুরতে গোলাহাট ক্যাম্পের হামিদা বিবির মতো আমার মনেও এই প্রশ্ন জেগেছে। উত্তর খুঁজতে গিয়ে উপলব্ধি করেছি এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সহজ নয়। তবে উত্তর খুঁজে না পেলেও ‘উঠল্লু’ লিখতে লিখতে মনে অন্তত নতুন কিছু প্রশ্নের জন্ম হয়েছে, আপাতত এটাই স্বস্তির। কেন? আসলে নতুন নতুন প্রশ্ন জন্ম নেওয়ার অর্থই তো নতুন করে পথে নামার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। আর পথে নামলেই নিশ্চিত রঙিন ধূলার সঙ্গে সন্ধি হবে, যেই ধূলা শরীরে মেখে আবাবিলের মতো বাহারি খোয়াব দেখার সুযোগও মিলবে।”
আরো পড়ুন:
নেতাকর্মীদের নিয়ে বইমেলায় জামায়াত আমির
বইমেলায় হট্টগোল, উপদেষ্টা ফারুকীর কড়া বার্তা
উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য প্রকাশনী। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন সেলিম হোসেন সাজু। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ঐতিহ্যের স্টলে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ২৮)।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম বইম ল বইম ল য় উপন য স উঠল ল
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।