আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আবার আলোচনায়
Published: 15th, February 2025 GMT
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি আবার সামনে এসেছে। ছয় মাস ধরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে নানা তর্কবিতর্ক চলছে। এখন নতুন করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অবশ্য তাঁদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের কথাও বলছেন।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল না হলে জনগণের সামনে গভীর সংকট দেখছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তাঁর মতে, কাজটি করতে না পারলে বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বৈরতান্ত্রিক ভিত্তি: জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সভায় নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলে দেশের মানুষ যদি সচেষ্ট না হয়, তাহলে জনগণের সামনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে। এটি না করা হলে বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির এই আহ্বায়ক বলেন, ‘খুনের দায়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্রুতগতিতে তাদের নিবন্ধন বাতিল করুন।.
কোনো দয়া না দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বর্জন করতে ওই সভা থেকে আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়কের দেওয়া এমন বক্তব্যের দুই ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মোহাম্মদ হাসানের জানাজা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চান তাঁরা।
দ্রুতগতিতে তাদের (আওয়ামী লীগ) নিবন্ধন বাতিল করুন।নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক কমিটিসরকারের পদক্ষেপ দাবিছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ভাষণ দেন। এই ভাষণকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৩২ নম্বরের বাড়ি। তখন থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আবার সরব হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৭ ফেব্রুয়ারি বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া ও খুনিদের বিচারের আগপর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব নাআবদুল হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনঅন্যদিকে গাজীপুরের ওই হামলায় আহত এক তরুণ ১২ ফেব্রুয়ারি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আওয়ামী লীগকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিহত ওই তরুণের (আবুল কাশেম) জানাজার আগে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। তাঁরা তিনজনই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান। সেই রাতে জানাজার পর কফিন মিছিলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
জানাজার আগে হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘#ব্যানআওয়ামীলীগ’ লেখা একটি পোস্ট দেন। এই পোস্টের আগে ওই দিন তিনি আরেকটি পোস্ট দেন। এর শেষ লাইনটি ছিল ‘ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।’
জানাজার আগে হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘#ব্যানআওয়ামীলীগ’ লেখা একটি পোস্ট দেন। এই পোস্টের আগে ওই দিন তিনি আরেকটি পোস্ট দেন। এর শেষ লাইনটি ছিল ‘ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।’ আ.লীগকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে নাজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন ‘সারডা সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। ২৭ আগস্ট সেই রিটের শুনানি হয়। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাইবে—কেউ এটি প্রত্যাশা করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এই সরকার মনে করে, মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দল অন্যতম প্ল্যাটফর্ম।
পরে হাইকোর্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়কের দেওয়া এমন বক্তব্যের দুই ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মোহাম্মদ হাসানের জানাজা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দেখতে চান তাঁরা।আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ২৮ আগস্ট সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম এক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। এই কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যক্তিগত দায় থাকতে পারে। নেতাদের সামষ্টিক দায় থাকতে পারে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না।
তবে জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না বলে গত ২৯ জানুয়ারি এক ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি সেদিন বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই গণহত্যার বিচারের মুখোমুখি হতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তাদের রাজনীতি করতে হলে ‘ক্লিন ইমেজ’ নিয়ে আসতে হবে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়ে বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে, এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯’ অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এই আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত বছরের ১ আগস্ট এই আইনে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করেছে।
সর্বশেষ ওই আইনেই গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া ও খুনিদের বিচারের আগপর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স র দ দ ন প টওয় র ন ষ দ ধ কর র ম খ য স গঠক র জন ত ক র র জন সরক র আওয় ম গতক ল আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় এক মাসে ১৩ লাশ উদ্ধার, বাড়ছে উদ্বেগ
বাড়িতে ঝগড়া চলছিল বড় ভাই ও ভাবির। ছোট ভাই এসে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাই ছোট ভাইয়ের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ধারালো বঁটি দিয়ে ছোট ভাইকে হত্যা করেন। পরে বড় ভাই শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ মে, খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের উলা গ্রামে।
এর আগে ২৭ মে কয়রার ইসলামপুর গ্রামের কয়রা নদীর চর থেকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় আবদুল মজিদ (৬২) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ৮ জুন কয়রার কাছারিবাড়ি বাজার-সংলগ্ন পুকুর থেকে নমিতা (৪০) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
১০ জুন কয়রা সদরের গোবরা সড়কে এক ভ্যানচালকের সঙ্গে এক মোটরসাইকেলচালকের কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলাও হয়েছে। এ ছাড়া কথা-কাটাকাটির জেরে কয়রার পল্লীমঙ্গল গ্রামে গত তিন দিনে কয়েক দফা মারামারি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অসন্তোষ-দ্বন্দ্বের জেরে কয়রা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা–সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ১০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত এক মাসে খুলনার ১০টি থানা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাসহ ১৩টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান কমে যাওয়ায় মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। মূল্যবোধ ও ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। এতে খুনখারাবি বাড়ছে। একসময় সমাজের একজনের ভালোতে সবাই আনন্দ পেতেন। নেতিবাচক দিকগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতেন। এখন সেই ব্যবস্থা উঠেই গেছে বলা যায়। পাশাপাশি রাজনৈতিক আধিপত্যের লড়াইয়ে প্রভাববলয় সৃষ্টি করতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
৩ জুন খুলনা শহরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সবুজ হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। ৪ জুন খুলনা সদর থানার মতিয়াখালী খালের মধ্যে আটকে ছিল এক নারীর মরদেহ। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় না পেয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুলে দাফন করা হয়। গত ৯ জুন বিকেলে রূপসা উপজেলার আঠারোবেকী নদীতে পাওয়া যায় অজ্ঞাতনামা যুবকের মরদেহ। মরদেহের শ্বাসনালিতে গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। রূপসা নৌ পুলিশের ওসি আবুল খায়ের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড।
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী শনাক্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণেই অপরাধ বেড়ে চলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরোর কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি তরিকুল ইসলাম। তাঁর ভাষ্য, প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে অপরাধ বেড়ে চলেছে।
কয়রা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলী বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে, এটা ঠিক। তবে প্রতিটি ঘটনায় পুলিশও তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যে বিষয়গুলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধের মধ্য দিয়ে সমাধান করা যায়, সেখানে খুনাখুনি, অস্থিরতা, মামলা-হামলার মধ্য দিয়ে একধরনের বিভীষিকাময় পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে; যা সবার জন্যই অকল্যাণকর ও ভয়ানক।