প্রিয় তুমি,

কেমন আছ? জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে পারবে না জানি। যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে তোমাকে হঠাৎ চিঠি লিখলাম কেন, সে প্রশ্নের উত্তর একটু পরে দিচ্ছি।

এইমাত্র একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে ঘুমটা ভেঙে গেল। তোমাকে এই অবেলায় ফোন দিয়ে কোনো দুঃস্বপ্নের গল্প শোনানোর দিন আমাদের ফুরিয়ে গেছে। অগত্যা কলম হাতে লিখতে বসে গেলাম। আইডিয়াটা ভালো, তোমার কাছে কোনো নোটিফিকেশন যাবে না, তবু তুমি শুনতে পাবে। এতটা আত্মবিশ্বাস কীভাবে হলো, সেটিও পরে বলছি, তার আগে কী দেখলাম সেটা শোনো—

পাশের কোনো বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে অনবরত পানি পড়ছে। কোন বিল্ডিং, সেটি দেখার জন্য জানালা দিয়ে তাকাতেই দেখি, ওই বিল্ডিংয়ের অর্ধনির্মিত ছাদবিহীন দেয়ালগুলো পানিতে ভেসে যাচ্ছে, এক্ষুনি নিচে পড়বে। ভাবতে ভাবতেই বুঝি আমাদের ছাদেই এসে পড়ল।

উফ্! কী বিকট শব্দ।

মাথা চেপে ধরে দরজার দিকে যেতেই কারও বুকে ধাক্কা খাই। শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরি।

পরিচিত একটা ঘ্রাণ, নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিই।

বুকের ভেতরে ঢুকে যাই একদম।

একি! আমি তার হৃৎপিণ্ডটা দেখতে পাচ্ছি, লাল লাল রক্তের শিরা–উপশিরা। মনে হচ্ছে, কোনো ব্যবচ্ছেদ করা মানবশরীরে মুখ ডুবিয়ে আছি। হৃৎপিণ্ড সংকোচনের পর জোরে প্রসারিত হয়েই আমার চোখেমুখে রক্তের ছিটা এসে লাগল।

 চোখ মেলে তাকালাম। মুখটা আসলেই ভেজা। চোখের কোণে পানি। সেটি কি কারও হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখে? নাকি লুবানার ছুড়ে দেওয়া পানিতে?

হ্যাঁ, লুবানা ডাকছে। ১২টা বেজে গেছে, ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ, শনিবার, আমার জন্মদিন। আমি কি ভুলে গিয়েছিলাম এই দিনের কথা? তাহলে ১২টা বাজার আগেই স্লিপিং পিল খেয়ে কেন ঘুমাচ্ছিলাম? আচ্ছা, তুমি তো বলেছিলে, ভুলে যাবে আমাকে, তাহলে লুবানার নিয়ে আসা রেড ভেলভেট কেকের নিচে শক্ত কাগজের উল্টো দিকে এই কাস্টমাইজ লেখাটা কীভাবে এল? লুবানাকে জিজ্ঞেস করলে হতো; কিন্তু মেয়েটা তো এখন ঘুমিয়ে গেছে। নিজের অজান্তেই আমার প্রিয় বইটা খুঁজে এনেছে ও, কোথায় পেয়েছে, সেটিও শোনা হলো না।

ছবি: পেক্সেলস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ