আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল
Published: 17th, February 2025 GMT
চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রেখেছিল ব্রাজিলের যুবারা। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে হলে করতে হতো ৪ গোল। কিন্তু প্যারাগুয়ের বিপক্ষে চার গোল তো দেয়া হয়নি, বরং ৩-২ গোলে হেরেছে ক্লদিও এচেভেরির দল। ফাইনাল পর্ব শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তাই অনেকটা হেসেখেলেই কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলল ব্রাজিল।
চূড়ান্ত পর্বে ৫ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের পয়েন্ট ১৩ আর আর্জেন্টিনার ১০। এবার রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। কলম্বিয়া ও প্যারাগুয়ের পয়েন্ট সমান ৯। তবে হেড টু হেডে কলম্বিয়া তৃতীয় আর প্যারাগুয়ে টুর্নামেন্টটা শেষ করল চারে থেকে।
দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে এ নিয়ে রেকর্ড ১৩তম শিরোপা জিতল ব্রাজিল। ২০২৩ সালে কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত সবশেষ আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এই প্রতিযোগিতায় উরুগুয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮বার আর আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতেছে ৫বার।
চূড়ান্ত পর্বে প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ছিল সমান ১০। গ্রুপে ৬-০ গোলে হারলেও চূড়ান্ত পর্বে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ব্রাজিল। তাতে দুই দলের পয়েন্ট সমান হয়ে যায় আর শিরোপা ভাগ্য গড়ায় শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। হেড টু হেডে সমতা থাকায় নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা জিতলে শিরোপা নির্ধারিত হত গোল গড়ে। তবে আর্জেন্টিনা ম্যাচ হারায় গোল গড়ের আর দরকার হয়নি। ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করেছে নেইমারের উত্তরসূরিরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন র
এছাড়াও পড়ুন:
চারঘাটের নন্দনগাছীতে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির (স্টপেজ) দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। বেলা একটার দিকে কর্মসূচি শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দাবির মধ্যে ছিল সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং স্টেশনের সংস্কার।
১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয় নিমপাড়া ইউনিয়নের বরকতপুর এলাকায়, যা নন্দনগাছী স্টেশন নামে পরিচিত। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। নিয়ম অনুযায়ী এই স্টেশনে স্টেশনমাস্টার, টিকিট মাস্টার, পোর্টারম্যান, পয়েন্টসম্যান, গেটম্যানসহ জনবল ছিল ১২ জন। বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। শুধু দুটি লোকাল ট্রেন সেখানে থামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবরোধে অংশ নেওয়া লোকজন ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে ট্রেন থামানোর দাবিতে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদীগামী একটি মেইল ট্রেন এলে স্টেশনে প্রবেশের আগেই জাতীয় পতাকা ও লাল পতাকা নিয়ে ট্রেনটি থামিয়ে দেন আন্দোলনকারী। তাঁরা ট্রেনের চালকের রুমে গিয়ে ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাঁরা কেউ রেললাইনে, কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে আবার কেউ প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন। প্রায় ১০-১২ মিনিট পর ট্রেনটিকে যেতে দেওয়া হয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসে চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর ট্রেন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস। নন্দনগাছী রেলস্টেশনে ট্রেনটির নির্ধারিত যাত্রাবিরতি নেই। তবে দাবি আদায়ের জন্য রেললাইনে সাধারণ লোকজন অবস্থান নেওয়ায় ট্রেন দুটি সেখানে থামতে বাধ্য হয়। প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনটিকে আটকে থাকার পর আবু সাইদ চাঁদের সহযোগিতায় ট্রেনটি সেখান থেকে রাজশাহীর দিকে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে