কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা জনগণের পালস বোঝেন না: সালাহ উদ্দিন আহমদ
Published: 17th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আপনার কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা জনগণের পালস বোঝেন না, নাড়ি বোঝেন না। তাঁরা ট্যাক্স বাড়িয়েছেন, ভ্যাট বাড়িয়েছেন; দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণ সেটাই। আপনি তাঁদের নসিহত করেন নতুবা বিদায় করেন। জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। সবচাইতে বেশি নজর দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে।’
আজ সোমবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের মুক্তিযোদ্ধা (গোলচত্বর) মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ও দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুনঅবিলম্বে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, ছিনিমিনি খেলা চলবে না: আবদুল মঈন খান১ ঘণ্টা আগেসর্বাগ্রে জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণের দাবি উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এই ডিসেম্বরের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমি এখান থেকে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলতে চাই, যদি আপনার নিয়ত ছাপ (পরিষ্কার) থাকে, তাহলে অতি শিগগির জাতির সামনে বক্তব্য দিয়ে আপনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। তার আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন, জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসুন।’
সমবােশ উপলখ্ষে বেলা তিনটার আগেই কক্সবাজার শহরের মুক্তিযোদ্ধা মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ওঠে। যথাসময়ে অনুসন্ধান শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপরিচালক রেজাউল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র আক্তার হোসেন। এই অনুসন্ধান নিয়ে দুদক থেকে আদেশ জারি করা হয় গত ১৬ এপ্রিল। তবে অনুসন্ধান-সংক্রান্ত খবরটি প্রকাশ পেয়েছে বুধবার।
দুদকের আদেশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এজন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে কি-না, এ সংক্রান্ত রেকর্ড, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা।