নারীদের জন্য লিলি নিয়ে এল প্রিটি পাউট টিন্টেড লিপগ্লস
Published: 18th, February 2025 GMT
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের বিউটি ব্র্যান্ড ‘লিলি’ বিশ্বাস করে প্রত্যেক নারীরই রয়েছে স্বকীয় সৌন্দর্য অর্থাৎ প্রত্যেকেই সুন্দর তাঁর নিজের মতো করে। ‘সৌন্দর্যের সংজ্ঞা তুমিই’, এই সৌন্দর্য আরও বিকশিত করে তুলতে লিলি নিয়ে এসেছে পাঁচটি ভিন্ন শেডের লিলি প্রিটি পাউট টিন্টেড লিপগ্লস।
সম্প্রতি সৌন্দর্যচর্চার ধারায় বড় সাড়া ফেলছে লিপগ্লস। তাই ফ্যাশনসচেতন নারীর চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে রিমার্ক এলএলসি, ইউএসএর অ্যাফিলিয়েটেড বিউটি ব্র্যান্ড ‘লিলি’ বাজারে নিয়ে এসেছে ক্যান্ডি, গ্লিটজ, জলি, বাবলস ও ইউনিকর্ন—এই পাঁচ শেডের লিলি প্রিটি পাউট টিন্টেড লিপগ্লস। এই টিন্টেড লিপগ্লসগুলোয় আছে আমন্ড অয়েল, যা ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ফাটা ভাব দূর করে, ঠোঁট রাখে মসৃণ। এ ছাড়া আছে হুইট জার্ম অয়েল, যা ঠোঁটকে করে চকচকে ও আর্দ্র। এগুলো তৈলাক্ত না হওয়ায় খুব সহজেই ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়।
রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের কালার কসমেটিকসের ক্যাটাগরি হেড ও জ্যেষ্ঠ পরিচালক হাসান ফারুক বলেন, ‘লিলির অন্যান্য পণ্যের মতো এই লিপগ্লস অল্প সময়েই সৌন্দর্যপিপাসুদের মধ্যে সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে বলে আমরা মনে করি। এই লিপগ্লসের রঙিন শেড ও শাইনি লুক নারীদের সৌন্দর্যে যোগ করবে ভিন্ন এক মাত্রা।’
বাংলাদেশের বাজারে বিদেশি আমদানিনির্ভর প্রসাধনী পণ্যের পরিবর্তে অথেনটিক ও আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের বিউটি ব্র্যান্ড ‘লিলি’।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দর য
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।