২০২৬ আইপিএলের আগে নতুন হেড কোচ নিয়োগ দিল কেকেআর
Published: 30th, October 2025 GMT
আইপিএল ২০২৬ মৌসুমের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) নতুন হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল অভিষেক নায়ারকে। গত মৌসুমে তিনি ছিলেন চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের সহকারী কোচ। এবার সেই জায়গা থেকেই পদোন্নতি পেয়ে দলের দায়িত্বভার নিলেন তিনি। এর আগে এক বছরের বিরতিতে নায়ার কাজ করেছিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের সহকারী হিসেবে।
সম্প্রতি নারী প্রিমিয়ার লিগের দল ইউপি ওয়ারিয়র্সও তাকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল।
আরো পড়ুন:
শেষটায় কী অপেক্ষা করছে?
ফাইনালে যেতে ভারতকে ৩৩৯ রানের টার্গেট দিলো অস্ট্রেলিয়া
কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর এক বিবৃতিতে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে অভিষেক কেকেআর পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠের ভেতরে ও বাইরে- দুই জায়গাতেই তিনি আমাদের খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। খেলার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বোঝার ক্ষমতা আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ; দুটোই তাকে আলাদা করে রেখেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এখন তিনি প্রধান কোচ হিসেবে কেকেআরকে নতুন অধ্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন।”
৪২ বছর বয়সী অভিষেক নায়ার একসময় ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে ভারতের জার্সি গায়ে তিনটি ওয়ানডেও খেলেছেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচ হিসেবে তার সিভিটাই এখন অনেক সমৃদ্ধ।
২০১৮ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিকে নায়ার কেকেআর একাডেমির প্রধান কোচ নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে অবসরের পর মূল দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন। পরে ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের প্রধান কোচের দায়িত্বও পালন করেন।
কেকেআরে থাকাকালীন গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। যখন গম্ভীর ভারতের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হন, তখন নায়ারও তার সহকারী হিসেবে যোগ দেন। তবে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিসিসিআইয়ের পর্যালোচনার পর এক বছরেরও কম সময়ে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এরপর আইপিএল ২০২৫ মৌসুমের আগে তিনি ফের ফিরে আসেন কেকেআরে।
তিন মৌসুম পর কেকেআর ও চন্দ্রকান্ত পান্ডিতের পথ আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ের মধ্যে দলটি দশ বছর পর ২০২৪ সালে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল। তবে ২০২৫ মৌসুমে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে মাত্র পাঁচ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় অষ্টম স্থানে থাকাটা শেষ পর্যন্ত পান্ডিতের বিদায়ের কারণ হয়। এরপর তিনি ফিরে যান নিজ রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এবং সেখানে ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব নেন।
কেকেআরের সহায়ক দলেও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বোলিং পরামর্শক ভরৎ অরুণ ও স্পিন-বোলিং বিশেষজ্ঞ কার্ল ক্রো দুজনই চলে গেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। ফলে আগামী কয়েক মাসে তাদের বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু হবে।
অর্থাৎ, নতুন করে সাজানো কেকেআর এখন নতুন কোচ অভিষেক নায়ারের হাত ধরে এগোতে প্রস্তুত। আইপিএল ২০২৬-এ আবারও পুরনো জৌলুস ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র সহক র ক ক আর
এছাড়াও পড়ুন:
ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা শুরু
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আর্টিকেল ফোর মিশন ঢাকা এসেছে। পাশাপাশি আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে পঞ্চম পর্যালোচনা করতে সংস্থাটির আরেকটি দলও এখন ঢাকায় আছে। উভয় দলই এসেছে দুই সপ্তাহের সফরে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
আজ বুধবার আইএমএফ মিশনের বৈঠক ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে। বাংলাদেশের দিক থেকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর আলাদা তিনটি বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।
আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধিদলটি আজ অর্থসচিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী বৈঠকে এবারের মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে। আগেরবারের মিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন এই ক্রিস পাপাজর্জিও।
জানা গেছে, আইএমএফের ‘পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড’ (কোয়ান্টিটেটিভ পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়া বা কিউপিসি) কতটা পূরণ করেছে, তা নিয়ে সংস্থাটি এবার বেশি আলোচনা করবে। কিউপিসি হচ্ছে আইএমএফের বাধ্যতামূলক শর্ত।
আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো জানতে চাইবে আইএমএফের আর্টিকেল ফোর মিশন। বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমানো, প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) বিপরীতে প্রণোদনা দেওয়া কমিয়ে আনা ইত্যাদি।
অর্থ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া কমিয়ে ২৮ হাজার কোটি টাকার নিচে আনতে বলেছিল আইএমএফ। এটা পূরণ হয়েছে বেশ আগেই। তবে এটা যেহেতু চলমান প্রক্রিয়া, তাই নতুন বকেয়াও জমছে।
আইএমএফের সঙ্গে চলমান ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ বাংলাদেশের পাওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরের দিকে। কিন্তু ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর আসবে নির্বাচিত সরকার। সে কারণে এবার পঞ্চম পর্যালোচনা হলেও সংস্থাটি ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারের সময়ই নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটা কথা শোনা যাচ্ছে যে পরের কিস্তি পাওয়া যাবে নির্বাচিত সরকারের সময়। কর্মসূচির আকার বাড়ল গত জুনে। তখনো তো ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে এ তথ্য সবার জানা। তাহলে নির্বাচিত সরকারের সময় ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আসছে কেন, তা বোধগম্য নয়।